গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার সাংবাদিক নিহত
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৯:৫৫ সকাল
ছবি সংগৃহীত
দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় দায়িত্বপালনকালে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) কাতারিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক ক্যামেরাম্যান নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলের বোমা হামলার বিষয়ে রিপোর্ট করার সময় ড্রোন হামলায় নিহত হন তিনি। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক সাংবাদিক। আরবি এই সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর প্রকাশ করেছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহত ওই ক্যামেরাম্যানের নাম সামের আবুদাক্কা। তিনি খান ইউনিসের ফারহানা স্কুলে আহত হওয়ার পর নিরাপত্তা বা চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হন। ওই এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগেই আহত অবস্থায় মারা যান তিনি।
আল জাজিরার দাবি, ওই স্কুলে ইসরায়েলি ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনা বিস্তারিতভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এক বিবৃতিতে আল জাজিরা বলেছে, ‘সামেরকে আঘাত করার পর পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। কেননা প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন অস্বীকার করে অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধার কর্মীদের তার কাছে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।’
ওইদিন সাংবাদিকরা গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থেকে রিপোর্ট করছিলেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সেটি ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের কেন্দ্রে ছিল।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে, স্কুলটিতে ইসরায়েলের হামলায় তিন গাজান উদ্ধারকর্মীও নিহত হয়েছেন। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, তাদের প্রধান সংবাদদাতা ওয়ায়েল আল-দাহদুহ হামলায় হাতে আঘাত পেয়েছিলেন। তবে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পৌঁছাতে সক্ষম হন তিনি।
দাহদুহ গাজার সংবাদদাতা। গত মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং নাতি নিহত হয়।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সুরক্ষা কমিটি জানিয়েছে, গাজায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে সাংবাদিকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৬৪ সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মী নিহত হয়েছে। ,
এদিকে, সামের আবু দাক্কার হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলিরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধের কভার করা সাংবাদিকদের পেছনে ছুটছে—আমাদের কাছে এখনও এমন কোনও ইঙ্গিত নেই।’