ইসরায়েলে হামলা চালানোর ঘোষণা ইয়েমেনের হুথির
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ১২:৪৪ রাত
ফাইল ছবি
ইসরায়েলে ড্রোন হামলার হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তারা বলছে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা দিলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তার জবাব দেওয়া হবে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি এরইমধ্যে ইসরায়েলকে রণতরী ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর কথা জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসের এ হামলাকে ‘স্পষ্ট শয়তানি কাজ’ বলে মন্তব্য করেছে। এরপরই ইয়েমেন ও ইরাক থেকে এমন হুমকি এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে এমন হুমকি দেওয়া সশস্ত্র সংগঠনগুলো হলো কাতাইব হিজবুল্লাহ, বদর অর্গানাইজেশন ও হুথি। এসব সংগঠনের কোনোটির বিরুদ্ধে এর আগেও মার্কিনি স্থাপনায় হামলার অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইরাকে ২৫০০ ও সিরিয়ায় ৯০০ সেনা নিয়ে মিশন রয়েছে। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ দুই দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে নিলে সেখানে মিশন পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।
ইরাকের কাতাইব হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করলে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনায় সামরিক সহায়তার অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে তা অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের রাজনীতিবীদ ও বদর অর্গানাইজেশনের নেতা হাদি আল আমির সোমবার একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে তাহলে আমারও হস্তক্ষেপ করব...। আমরা সব আমেরিকানকে নিজেদের লক্ষ্যবস্তু বানাব।
বদর অর্গানাইজেশন পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) সদস্যদের বড় একটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। এটি দেশটির রাষ্ট্রীয় আধাসামরিক সংস্থা। ফিলিস্তিনিদের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জানিয়েছে পিএমএফ। তারা বলছে, ফিলিস্তিনের এ হামলা ছিল মূলত ইসরায়েল কতৃক তাদের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে। এজন্য ইরাক তাদের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। ইয়েমেনের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের কড়া জবাব দেওয়া হবে। প্রয়োজনে হামাসের হয়ে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক উপায় অবলম্বন করে হামলা চালানো হবে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে ইরাকে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটির মার্কিন সেনাবাহিনী ও বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলা চালিয়েছে। তবে গত বছর যুদ্ধবিরতির কারণে এ সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তবে এরমধ্যে আবার এসব দেশ নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিল।