ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সব খাবার বেশি খেলেও বাড়বে না ওজন!!

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ০৪, ২০২৩, ০২:৪১ রাত  

জীবদেহে শক্তির উৎস হল খাদ্য।আমাদের দৈনিক কাজকর্ম, চিন্তাভাবনা ও শারীরিক পরিশ্রমের জন্য দেহের ক্ষয় হয়। খাদ্য সেই ক্ষয় পূরণ করে। তাই দেহের পুষ্টির জন্য খাদ্য একান্ত প্রয়োজন।আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাবার প্রয়োজন। আমরা একটু খাবারের প্রতি সচেতন হলে সবাই স্বুস্থ্, সবল, সুন্দর থাকতে পারি। শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ও বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ হতে রক্ষা পেতে হলে সব ধরনের ভিটামিন জাতীয় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিৎ

শরীরে শক্তি বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেয়ে গেলেই দেহে  দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর।বাড়তিওজনেরকারণেডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ওহৃদরোগহতেপারে।এছাড়াহাইপারটেনশনেঅতিরিক্তক্লান্তিইপরেঅ্যাটাকেরঝুঁকিবাড়িয়েদেয়।তাই সবার অতিরিক্ত ওজনের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য মারত্নক ক্ষতিকর।তাই ওজনের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সব থেকে কষ্টদায়ক বিষয়ই হচ্ছে ডায়েট করা। অর্থাৎ পরিমিত খাবার খাওয়া বা স্বাস্থ্যকর খাওয়া যা সবারই অপছন্দ। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যা প্রিয় কিন্তু বেশি খেলেও শরীরে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। আসুন জেনে নেই, কী সেই খাবারগুলো।

ডিম সিদ্ধ : ডিম, বিশেষ করে ডিমের কুসুম কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যদিও ডিমে কোলেস্টেরল আছে তারপরও এটি খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে না। এছাড়া ডিম সম্পূর্ণ একটি প্রোটিন যাতে ৯ ধরনের অ্যামিনো এসিড আছে। যারা নিয়মিত সকালের নাস্তায় ডিম খান তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ওটমিল : ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন ফল, বাদাম মিশিয়ে ওটমিল খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হয়। এ কারণে এটি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

স্যুপ : অনেকের মতে, স্যুপ খেলে তাৎক্ষণিকভাবে পেট ভরে। তবে কিছুক্ষণ পরেই ক্ষুধা অনুভূত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, উপকরণ ঠিক হলে স্যুপ খেয়েই অনেক সময় থাকা যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন রকম সবজি মিশিয়ে ঘন করে স্যুপ তৈরি করলে ক্যালরি বাড়ে না।

আপেল : আপেলে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার হজমে সহায়তা করে। প্রতিটি আপেলে শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ পানি থাকে। এ কারণে এটি খেলে পেট ভরা অনুভূত হয় কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ হয় না।

মাছ : কিছু কিছু সামুদ্রিক মাছ আছে যে গুলিতে খুব কম পরিমাণে ফ্যাট কিন্তু উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। এ গুলো খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকে না।

প্রটিনযুক্ত খাবার: প্রটিনযুক্ত খাবার খেলে কার্বোহাইড্রেটের চেয়ে বেশি পেট ভরা লাগে। প্রোটিনের জন্য মাংস খেতে পারেন। তবে তা হতে হবে চর্বিহীন। এছাড়া প্রোটিনের জন্য ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ মাছ খেতে পারেন। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না। বরং হৃদরোগজনিত জটিলতা কমবে।

পপকর্ন : অনেকেই হালকা নাস্তা হিসেবে পপকর্ন খেতে পছন্দ করেন। ফাইবারযুক্ত এ খাবারটি পেট ভরায় কিন্তু ওজন বাড়ায় না। তবে মাইক্রোওভেনে গরম করা ক্রিম কিংবা লবণযুক্ত পপকর্ন শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

আলু : অনেকেই উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে আলু খেতে চান না। ভাজা ছাড়া যেকোনো ভাবে রান্না করলেই আলু থেকে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যায়। এতে থাকে দ্রবণীয় ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। কম ক্যালরি পূর্ণ এ খাবারটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়। ফলে ওজনও বাড়ে না। বিশেষ করে সিদ্ধ আলু খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

বিশুদ্ধ পানিঃ এখন বেশ গরম পরতে শুরু করেছে। শরীরের পানির চাহিদা পূরণে বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে বাসায় তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের জুস খেতে পারেন।শরীরেরচাহিদাঅনুযায়ীপানি পান করুন।

যারা ওজন কমাতে চান নিয়মিত খাদ্য তালিকায় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং পানিযুক্ত খাবার রাখা উচিত। এছাড়া কম ক্যালরিযুক্ত এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।