শেখ রাসেলের জন্মদিনে কাপ্তাই হ্রদে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ০৭:৩৭ বিকাল
ছবি সংগৃহিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কাপ্তাই হ্রদে শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনু্িষ্ঠত হয়েছে।বুধবার দুপুর আড়াইটায় রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পৃষ্টপোষকতায় ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ‘শেখ রাসেল স্মৃতি’ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র মো: আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মো: মুছা মাতব্বর ও শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিউল আজম প্রমুখ।প্রতিযোগিতায় কাপ্তাই হ্রদের মধ্যটিলা হতে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত মোট ৪টি ইভেন্টে শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও মহিলা দলের সর্বমোট ২৫ টি দল অংশগ্রহন করে।নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় (পুরুষ) সাম্পানে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন জামাল ।মহিলা কায়াক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন শর্মিলা ত্রিপুরা। মহিলা বড় নৌকা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সুমিতা ত্রিপরা ও তার দল। পুরুষ বড় নৌকা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে চিরমনি ত্রিপুরা ও তার দল।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী প্রত্যেক দলকে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার এবং ২৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘাট প্রাঙ্গণসহ কাপ্তাই হ্রদ এলাকার পাড়ে মানুষের ঢল নামে। কেউ নৌকা, কেউবা ইঞ্জিন বোটে, কেউবা লঞ্চে করে, আবার কেউ ঘাটে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন ঐতিহ্যবাহী এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।