রাবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বহিষ্কার, শোকজ-১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ১০:৪৫ রাত
ছবি সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান আবাসিক হলে উচ্চ শব্দে গান বাজনার ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিককে মারধর করায় ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে হল থেকে বহিষ্কার ও একজনকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম।
তিনি জানান, তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রেজিস্ট্রারের দাপ্তরিক আদেশের তথ্যমতে, আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ার সত্বেও শহীদ হবিবুর রহমান হলে অবস্থান এবং শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যক্রমে জড়ানোর অপরাধে চারুকলা অনুষদ শিক্ষার্থী ইমরান, আরবী বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আমির হামজা ও নাজিম হোসাইনকে হল থেকে অপসারণ এবং নিজেদের সংশ্লিষ্ট হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই অপরাধে ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সাজিদ হাসান সম্রাটকে শহীদ হবিবুর রহমান হল থেকে বহিষ্কার। এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আল আমিনকে মুচলেকা নিয়ে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা সংবলিত একটি অফিস আদেশ পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কাজ চলছে।
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর মধ্যরাতে শহীদ হবিবুর রহমান হলে উচ্চশব্দে গান বাজনাতে নিষেধ করায় দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেনকে মারধর করেন আকাশ, ইমরান ও সম্রাট। ঘটনার চলাকালে নিউজ সংগ্রহের কাজে গেলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রায়হান ইসলামের উপর ওপর চড়াও হন এবং মারধর করেন ইমরান ও সম্রাট, আমীর হামজা, নাজিমসহ অন্যান্যরা। তারা সবাই হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিনের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী। এ ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষক ড. গৌতম দত্তকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়৷ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পান কমিটি এবং কিছু সুপারিশসহ এই প্রতিবেদন শৃঙ্খলা কমিটিতে দেন। সেই প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।