এবার ওষুধের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৮, ২০২৪, ১০:২০ দুপুর
ফাইল ছবি
ব্যাংক ঋণের সুদ, জ্বালানি খরচ এবং ডলারের চড়া দরের অযুহাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে ওষুধের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন মালিক সমিতির নেতারা। তারা বলেন, সার্বিকভাবে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামের সমন্বয়।
বর্তমানে দেশে ওষুধের বাজার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার। যার ৯৮ শতাংশের জোগানই আসে দেশীয় কারখানাগুলো থেকে। তাছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার পণ্য। গেলো বছরের একই সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে সোয়া ৮ শতাংশ।
তবে এই শিল্পের ৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর হওয়ায় ডলারের কারণে সংকটে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া জ্বালানি সরবরাহ কমে যাওয়ায় পুরোদমে চলছে না কারখানাগুলো। সার্বিকভাবে যা বাড়িয়েছে উৎপাদন ব্যয় এবং ব্যবসার খরচ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আবারো দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন মালিক সমিতির নেতারা।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মুক্তাদির বলেন, এখন ডলারের দাম বেড়ে অফিসিয়ালি ১১০ থেকে ১১১ টাকা হয়েছে। আগে যা ছিল ৮৬ টাকা। আমরা ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করতে ১১৯ থেকে ১২০ টাকায় ডলার কিনছি। ফলে পর্যায়ক্রমে ওষুধের দর বিন্যস্ত করার চিন্তা করছি।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আগে ডলারের মূল্য ছিল ৮৬ টাকা। এখন সেটা ১১০ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেড়ে গেছে। ফলে ওষুধের দাম বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যথায় ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনবে। এভাবে তো ব্যবসা চলতে পারে না।
সময়ের সঙ্গে ওষুধ শিল্পের বিকাশ ঘটলেও কাঁচামাল উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এমনকি বছর দশেক আগে এপিআই পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা এখনও পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা আহ্বান জানান, প্রয়োজনে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে হলেও সেখানে বিনিয়োগ বাড়ানোর।
বর্তমানে প্রায় দেড়শ'টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ।