দেশের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে স্পর্শকাতর মামলার ০৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৮, ২০২৪, ০৯:৫১ রাত
ছবি সংগৃহীত
র্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল ক্যাম্পের বিশেষ আভিযানিক দল দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে ০৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। র্যাব-৮, সিপিএসসি কোম্পানী ১। র্যাব-১০ ঢাকা কেরানীগঞ্জ এর সহায়তায় একই তারিখ ০১০০ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরের যাত্রবাড়ী থানধীন রায়েরবাগ কাঁচা বাজার এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ বাবুল হাওলাদার (৬০), ২। র্যাব-১ এর সহায়তায় গাজীপুর থেকে স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম, ৩। ভোলা জেলার সদর থানাধীন কন্দপপুর এলাকা হতে ডাকাতি মামলায় ২২ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ নয়ন (৩৫)’কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ বাবুল হাওলাদার (৬০), পিতা-মৃত গোলাম আলী, সাং-মোহনগঞ্জ, থানা-বাবুগঞ্জ, জেলা-বরিশাল এর বিরুদ্ধে ইঞ্জিনবাহী ট্রলার নিয়ে বিরুধের জেরে ভিকটিম আলমগীর হোসেনকে ঝালকাটি জেলার নলছিটি থানাধীন নাচোল মহল বাজার থেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। যার মামলা নং-১৩/২০০৩, সেশন-৩০/২০০৭। বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় আসামীকে উক্ত আইন ও ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। ২। আসামী মো নজরুল, পিতা মোসলেম, সাং-কামদেবপুর, থানা- নলছিটি, জেলা-ঝালকাঠি’র বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় নজরুল তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে পরিকল্পনা করে তার প্রথম স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। যার কোতয়ালী থানার মামলা নং- জিআর-৩২৮/২০০৩ এবং নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাই মামলা নং-৪৭৭/০৩। বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় আসামীকে উক্ত আইন ও ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। ৩। আসামী মোঃ নয়ন (৩৫), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং- দক্ষিণ আইচা, থানা- দক্ষিণ আইচা, জেলা- ভোলা’সহ অন্যান্য আন্তজেলা ডাকাতচক্রের সদস্যরা গত ০৭ জুলাই ২০১১ সালে তারিখে মেঘনা নদীতে ডাকাতি করতে গিয়ে ভিকটিমকে আহত করে লুটপাট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পরে। এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানার মামলা নং-জিআর-১৮৮/১১, সেশন-৫৮/১৬ মূলে পুলিশ আসামী নয়নকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে, আসামী জামিন নিয়ে আত্বগোপনে চলে যায়। গ্রেফতারকৃত আসমীগণ পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত সাজা গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট জারি করেন। ১ নং ও ২নং আসামীরা প্রায় দুই দশক এবং ৩ নং আসামী এক যুগের বেশি সময় ধরে পলাতক ছিল।
উল্লেখিত ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী অফিসারগণ আসামী গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৮, বরিশালে একটি আধিযাচন পত্র প্রেরণ করেন। এমতাবস্থায় র্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল কর্তৃক ছায়াতদন্ত করে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উল্লেখিত গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে দায়িত্বপ্রাপ্ত থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা।