ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে বিদেশী মদ ও বিয়ারসহ একজন মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৯:০৭ রাত  

র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ পৌরসভাস্থ ০১নং ওয়ার্ডের নাইট্যংপাড়া এলাকার জনৈক হাবিব উল্লাহ এর বসতঘরের ভেতর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘর থেকে বের হয়ে কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি তার বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনীযুক্ত পূর্বমুখী বসতঘরের ভিতর বিদেশী মদের বোতল এবং বিয়ার মজুদ রয়েছে মর্মে জানায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক বসত ঘর তল্লাশী করে খাটের নীচে ও বিভিন্ন স্থানে থাকা প্লাষ্টিকের বস্তার ভেতর হতে সর্বমোট ৭২১ টি বিদেশী কাঁচের মদের বোতল (প্রতিটির গায়ে ইংরেজীতে GRAND ROYAL BLACK BLENDED WHISKY 700 ml 43% alc লেখা আছে) এবং ৩২৪ টি বিয়ার ক্যান (প্রতিটির গায়ে ইংরেজীতে ANDAMAN GOLD ALC 5% ABV LAGER BEER, PRODUCT OF MYANMAR লেখা আছে) উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় জাহাঙ্গীর আলম (২৩), পিতা-হাবিব উল্লাহ, মাতা-মৃত সানজিদা বেগম, সাং-নাইট্যংপাড়া, ০১নং ওয়ার্ড, টেকনাফ পৌরসভা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। এছাড়াও আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই আরও একজন মাদক কারবারী পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদ্বয় পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে মাদক পাচারের সাথে জড়িত। তারা বিয়ার ক্যান ও মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে এবং পরবর্তীতে মজুদকৃত মাদক টেকনাফ ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রয় করে থাকে বলে জানায়। অদ্য উপরোল্লিখিত মাদকসহ র‌্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়। 

উদ্ধারকৃত বিদেশী মদ ও বিয়ার ক্যানসহ ধৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।