ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

শখের বশে কুমিল্লায় বিভিন্ন প্রজাতির ২৩০টি বনসাই

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৪, ০৪:০৭ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

কুমিল্লা নগরীর শুভপুর এলাকার সহোদরা ভবনের ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির ২৩০টি বনসাই রয়েছে। এ যেন বনসাইয়ের জাদুঘর। হাসান ফিরোজের ধারণা, সারা দেশে তার সংগ্রহেই সবচেয়ে বেশি বনসাই রয়েছে। ছোট আকারের মাটির পাত্র। আর তাতে দাঁড়িয়ে আছে ৩৫ বছর বয়সী এক বনসাই।

ছোট ছোট মাটির পাত্রে দেশি-বিদেশি আরও বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বনসাই। এদের মধ্যে কোনোটায় বাঁশ আবার কোনোটায় রয়েছে চন্দনগাছ। সহোদরা ভবনের মালিক হাসান ফিরোজ। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক। শখের বশে এ বনসাই বাগান তৈরি করেছেন। তার ধারণা, সারা দেশে তার সংগ্রহেই সবচেয়ে বেশি বনসাই আছে। পুরো ভবনের ছাদজুড়ে বনসাই। মাটি ও প্লাস্টিকের পাত্রে ছোট অথচ বেশি বয়সের গাছগুলোকে নানান আকৃতি দেয়া হয়েছে। কোনো বনসাই নাচের ভঙ্গিতে, কোনোটা আবার দৌড়বিদের ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে। কোনোটা হৃদয় আকৃতির। সাপের মতো নিজেকে প্যাঁচিয়ে ফণা তুলেছে।
গুনে গুনে দেখা যায়, শত প্রজাতির ২৩০টি বনসাই রয়েছে সহোদরার ছাদে। এ যেন বনসাইয়ের জাদুঘর।
এদের মধ্যে ফাইকাস, চায়না বট, পাকুর, কাঁঠালি বট, অশ্বত্থ, লোভ্যাবট, কামিনি বট, কালিবট, নিম, অডিনিয়াম, জুনিপারাস, ঝাউ, পাস্তা, শিমুল, জেড বট, খেঁজুর, কামিনি বট, বাঁশ, কৃষ্ণ চন্দন, তেঁতুল বট, লালবট, সালঙ্কান, জাম বট, অর্জুন বট, সাইকাছ উল্লেখযোগ্য।

হাসান ফিরোজ বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে বনসাই নিয়ে কাজ শুরু করেন। তবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার মাথায় বনসাইয়ের শখ চেপে বসে। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে তার বনসাই সংগ্রহ শুরু। এগুলোর যত্নে কোনো কমতি রাখেননি। তিনি আরো বলেন, কেউ বনসাই করতে চাইলে তাকে গাছ বাছাইকে প্রাধান্য দিতে হবে। দীর্ঘজীবী ও ছোট পাতার গাছ হলে ভালো। পাশাপাশি বনসাইয়ের নিবিড় যত্ন নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। বনসাইয়ের জন্য ধৈর্য প্রয়োজন।

হাসান ফিরোজ বলেন, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি ও চট্টগ্রাম ক্লাবে তার একক বনসাই প্রদর্শনী হয়েছে। সেখানে কিছু বনসাই বিক্রি হয়েছে। হাসান ফিরোজ বলেন, আমার বয়স হয়েছে। আমার এ বনসাইগুলো টিকিয়ে রাখতে চাই। যদি কেউ উদ্যোগী হয়, আমি খুশি হব।