মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে, নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৫, ২০২৪, ০৭:৩০ বিকাল
ছবি সংগৃহিত
জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কল্যাণ আওয়ামী লীগের হাতে। তাই মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
সোমবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
বিকাল ৩টা ৩৮ মিনিটে যৌথসভায় এসে পৌঁছান তিনি। এসময় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগের প্রথম যৌথসভা এটি।
সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আসার পর অনেকবার আক্রমণের শিকার হয়েছি। তারপর দেশের মানুষের জন্য একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তাই জীবন বাজি রেখে দেশে এসেছি। আমাদের একটাই লক্ষ্য- জাতির পিতা দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে, সেই স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে বহু নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। কোনো আন্দোলন বৃথা যায় না।
এসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহার পড়তে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এদেশ খুনির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এদেশে বিশ্বে পরিচিত ছিল একটা দুর্ভিক্ষের দেশ, খুনির দেশ হিসেবে। একটা সময় বিভিন্ন দেশের কাছে সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশকে চলতে হতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। যারা ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করলেও দেশের মানুষের ভাগ্য তারা পরিবর্তন করেনি।
নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, তাই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম।
নির্বাচনে হার-জিত নিয়ে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের একে অপরকে দোষারোপ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বলেন, নির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন লোক একে অপরকে দোষারোপ করেছে। একে অপরকে দোষারোপ করা হলে যারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি তারা কথা বলার সুযোগ পাবে। আমাদের বিরোধী পক্ষ বিএনপি এটা নিয়ে কথা বলতে সুযোগ পাবে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২৮ তারিখে তারা সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা করে পুলিশকে হত্যা করল এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা করল। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলে তাদের সমাবেশে উস্কানি দিয়েছে। তারা সমাবেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, পুলিশ হত্যা করল, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করল, আওয়ামী মহিলা লীগের নেত্রীদের ওপর হামলা করল আবার তারাই (বিএনপি) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে কাঁদে। এ ধরনের ঘটনা তারা আরও ঘটাবে। তারা বলে ২৮ তারিখে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা দেবে কে, কেউ তো ছিল না।
রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে তাই রমজান সামনে রেখে বিভিন্ন খাদ্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, রমজানে খাদ্যের সরবরাহ ঠিক মতো রাখতে প্রয়োজন মতো আনা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ কষ্টে আছে আমরা জানি। বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে আবার আমাদের দেশে মজুতদার আছে। তবে সামনে রমজান সেই কথা মাথা রেখে প্রয়োজন মতো খাদ্য আনা হচ্ছে। রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে এজন্য প্রয়োজন মতো আনা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারপর কিছু খাদ্য বাইরে থেকে আনতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে, পরিবহন খরচের কারণে কিছু দাম বাড়ছে। তবে মানুষের চাহিদা বাড়ছে এবং ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ অফিস হলো দলের মূল শিকড়। এখানে আসতে হবে। আমি সামনেও বসব। আমাদের শক্তি হলো দেশের মানুষ।
২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন