একই সাথে মানুষের সাথে মৌমাছির বসবাস
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৫, ২০২৪, ১১:৫০ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাচগাছি গ্রামে এক বাড়ির মালিক ও মৌমাছি একসাথে বসবাস করছেন। বাড়িটির মালিক মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ হাবিবুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িটির ৩’তলার বারান্দায় হাজার হাজার মৌমাছি ১০-১২টি বাসা (চাক) বেঁধে বাস করছে। চাক গুলো লম্বা ও বড় হয়ে এতই নিচে ঝুলে এসেছে যে বাড়ির মানুষকে মাথা উঁচু করে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় আনমনা চলাফেরার সময় মৌচাকে মাথা-হাত লাগলেও কামড় বা হুল দেয় না মৌমাছি গুলো।
এত নিকটে মাছি গুলো বাসা বেঁধেছে হুল বা কামড় দিতে পারে এমন ভয় হয় কিনা জানতে চাইলে বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, বছরের পর বছর মাছিগুলো চাক বেঁধে আছে এখন পর্যন্ত কাউকে কামড় দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, কয়েক বছর যাবৎ মৌমাছি গুলো বারান্দায় চাক বাঁধলেও একবারও মধু সংগ্রহ করা হয়নি।
চেয়ারম্যানের স্ত্রী বলেন, আগে মাত্র ছোট ২টি চাক ছিল বারান্দার দরজার কাছে। আরো মৌমাছি এসে অনেক গুলো চাক বেঁধে কয়েক বছর থেকে বাস করছে। বারান্দায় চলাফেরা বা ভিজা কাপড় শুকানোর জন্য চাকের পাশেই তারে দেওয়ার সময় কাপড় ও হাত লাগলেও কামড় দেয় না। এজন্য মৌমাছি এগুলোকে আমরা পরিবারের সদস্যের মতই মনে করি।
পাঁচবিবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিয়ায কাযমীর রহমান বলেন, মৌমাছিকে বিরক্ত বা আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে তারাও হুল ফুড়ে দেয়। মানুষ বা গরু—ছাগলকে অতিরিক্ত মৌমাছি কখনও কামড় বা হুল দিলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সর্বোপরি মৌমাছি থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করাই শ্রেয় বলেও মন্তব্য করেন এ কর্মকর্তা।