ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১

রাজধানীতে নাশকতার তথ্য ছিল, তবে কোথায় হবে তা নিশ্চিত ছিল না: র‍্যাব

নিউজ ডেক্স

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ০৬, ২০২৪, ০৫:২০ বিকাল  

ছবি সংগৃহিত

রাজধানীতে নাশকতা ঘটবে বলে র‍্যাবের কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তবে কোথায় ঘটবে, তা নিশ্চিত ছিল না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর কলেজে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন র‍্যাবের মহাপরিচালক। পরে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা বিষয়ে জানাতে কলেজ মাঠে সংবাদ সম্মেলনে গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের মহাপরিচালক এ কথা বলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, এ ধরনের নাশকতা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে ছিল। কিন্তু কোথায় হবে সেটা নিশ্চিত করে জানা ছিল না। 

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত নাশকতার জন্য ভোট বর্জন করলেও মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল রাতে ট্রেনে কারা আগুন লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান চলছে। 

র‌্যাব মহাপরিচলক বলেন, আমরা গতকাল (শুক্রবার) তিনজনকে আটক করেছি। তাদের কাছে পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে ২৮টি, ককটেল পাওয়া গেছে ৩০টি। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয় করে র‍্যাব পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে র‍্যাবের সব ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল শুরু করেছে, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার জগতে নজর রাখছে র‍্যাব। র‍্যাবের সুইপিং দল, ডগ স্কোয়াড, বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট কাজ করছে। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য র‍্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে।

র‌্যাব বিশেষ ধরনের নতুন ডিভাইস চালু করেছে উল্লেখ করে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গেলে ওই যন্ত্র তাকে শনাক্ত করবে। র‍্যাব তৎপর থাকবে, যাতে এক এলাকার মানুষ এলাকায় ভোট দিতে বা নাশকতা ঘটাতে না পারে। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যেতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নেয়া ব্যক্তিরাই শুধু মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন। 

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে গত নির্বাচনের পর ক্যাপিটল বিল্ডিং হামলা হয়েছে, ভারতেও নির্বাচনের সময় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সহিংসতা হয়, লোক মারাও যায়।    

র‍্যাব নির্বাচনে তিনটি পর্যায়ে (ফেজ) দায়িত্ব পালন করছে উল্লেখ করে র‍্যাবপ্রধান খুরশীদ হোসেন বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী পর্যায় আজ শেষ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামীকাল ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; নিরাপদে ভোট দিয়ে মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা। তৃতীয় পর্যায় হলো নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। অনেক সময় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, সহিংসতা হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র‍্যাব।

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন