পুলিশের সাবেক আইজিপিকে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজির হুমকি

কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর সদর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘আপনাকে ভালোই ভালো সতর্ক করছি, আর এক পা আগাবেন না। হয় নৌকার সঙ্গে থাকুন, না হয় কটিয়াদী ছেড়ে ঢাকা চলে যান। আর যদি আপনি একটি কথা নৌকার বিরুদ্ধে বলবেন, তাহলে আপনার বাড়ি ঘেরাও করা হবে।’

আবদুল কাহার আকন্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ ও জাতীয় চার নেতার হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত আছেন, আপনাদের আমি বলতে চাই। এটার পেছনে আমাদের বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদ জড়িত আছেন। এই নূর মোহাম্মদ আমার লোকগুলোকে ডেকে নিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ট্রাকের লোকদের সেই টাকা দিচ্ছেন। এটার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।’

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘নৌকার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রে আমার যারা চেয়ারম্যান, মেম্বার ছিলেন, যারা আওয়ামী লীগের লোকজন ছিলেন, তাদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাদের ভয় দেখিয়ে ট্রাক মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এই ভয়ে অনেকে আজ ঘরে বসে আছেন।’

নির্বাচনী জনসভায় পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোতায়েম হোসেন স্বপন, পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এবার দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাকে সমর্থন দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ। ফলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আলোচিত তিন প্রার্থীতে বিভক্ত হয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে যোগ দিচ্ছেন।