ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

জাতীয় নির্বাচন ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে ডিসি-এসপিকে হুমকি দেওয়ায় পবনের প্রার্থিতা বাতিল

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ০২, ২০২৪, ১০:৩০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

এই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘নির্বাচনী অপরাধের’ দায়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা হিসেবে প্রার্থিতা বাতিল করা হল। জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) বদলির হুমকি দেওয়ায় নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে প্রার্থিতা বাতিল হলো লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন থেকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়। নির্বাচন ভবনে পবনের উপস্থিতিতে অভিযোগের শুনানি হয়েছে গতকাল সোমবার। ভোট আয়োজনের দায়িত্বপাপ্ত সাংবিধানিক সংস্থাটি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

কমিশন হতে বলা হয়েছে, হাবিবুর রহমান পবনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী অপরাধসহ ‘নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংঘটনের দায়ে Representation of the People Order, 1972 Article 918 Clause (2) এর বিধান অনুযায়ী তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিলই নির্বাচনী আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি। এই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘নির্বাচনী অপরাধের’ দায়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা হিসেবে প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।

অবশ্য স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের নজির রয়েছে। কাজী হাবিবুল আউওয়াল কমিশন এর আগে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-১ আসনের উপ নির্বাচন অনিয়মের কারণে বাতিল করে নজির সৃষ্টি করেছিল।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি গত শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটের দিকে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহানকে হোয়াটস অ্যাপে ফোন দিয়ে অকথ্য ও আপত্তিকর ভাষায় কথা বলেন। ডিসি ও এসপিকে তিন দিনের মধ্যে বদলি করার হুমকি দেন। ওই দিনই এ বিষয় জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠান সুরাইয়া জাহান।

ওই প্রতিবেদনে এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিকবার এ ধরনের আচরণ করার অভিযোগ আনেন। এ ঘটনায় কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনকে গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয়।

শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও তিনজন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোঃ আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ও মোঃ আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।