ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সাফারি পার্ক হওয়ায় লাঠিটিলা বন রক্ষা সম্ভব; পরিবেশমন্ত্রী

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৮:১৩ রাত  

ছবি সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ও মৌলভীবাজার (বড়লেখা ও জুড়ী) ১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক স্থাপন নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলেছেন, লেখালেখি করেছেন। অনেকে বলেছেন, সাফারি পার্ক হলে পরিবেশ বিপন্ন হবে, গাছপালা কাটা পড়বে। এটা ভিত্তিহীন, মিথ্যা। সবকিছু বিবেচনায় রেখে পরিবেশের সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় লাঠিটিলা বনে সাফারি পার্ক হচ্ছে। লাঠিটিলা বনের জমি বেদখল হয়ে গেছে। সাফারি পার্ক না হলে বনটিকে রক্ষা করা যেত না। সাফারি পার্ক হওয়ায় লাঠিটিলা বন রক্ষা করা সম্ভব। বনের জমি দখলকারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হবে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্পের বিলবোর্ড স্থাপনকালে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।  
জুড়ী উপজেলা সদরের জাঙ্গিরাই এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্বরে সাফারি পার্কের বিলবোর্ডটি স্থাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘এমনিতেই লাঠিটিলা খুব সুন্দর জায়গা। সাফারি পার্ক হলে এলাকার মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে পর্যটকেরা আসবেন। লাঠিটিলার সাফারি পার্ক এলাকার জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।’ আগামী জানুয়ারিতে সাফারি পার্কের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ অনুমতি বিহীন বিদেশ গমনের অভিযোগ সহকারী শিক্ষকার বিরুদ্ধে

দুপুর ১২টার দিকে বিলবোর্ডের ফলক উন্মোচন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবীর এবং মৌলভীবাজারে অবস্থিত বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাঠিটিলা সাফারি পার্কটি দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক। ৫ হাজার ৬৩১ একর এলাকাজুড়ে সাফারি পার্কটি নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭০২ একরে ‘বায়োডাইভারসিটি পার্ক’ ও ২৭০ একর জায়গায় ‘কোর সাফারি পার্ক’ হবে। এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য ৩৬৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশবাদীদের আপত্তি উপেক্ষা করে জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা বনে সাফারি পার্ক স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ৯ই নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।