ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফেসবুক আইডি নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেলো কলেজছাত্রের

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০৯, ২০২৩, ১০:১৫ দুপুর  

খুনিদের পা ধরে মাফ চেয়েও রক্ষা হয়নি নাঈমের! মা-বাবা বোনদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করলো নাঈমকে। মা বোনের আহাজারী করে চিৎকার করে কান্না করছিল। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের বর্ষীজোড়ায় এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে।

বিভৎস নির্মমতার শিকার রেজাউল করিম নাঈম (২১) নামে মৌলভীবাজারের কলেজপড়ুয়া এক কিশোরের। ঘরে ঢুকে বাবা-মা’র সামনেই ওই কিশোরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্য কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। হাসপাতালে নেয়ার ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় নাঈমের, চিরতরে হারিয়ে যায় সম্ভানার ওই কিশোর। 

গত মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বর্ষিজোড়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। 

বিষয়টি ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় ওঠে চারিদিকে। পরিবারজুড়ে সৃষ্টি হয় শোকের মাতম। ওই ঘটনায় বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে সোহান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুনঃ সিলেটের সাথে দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

নিহত রেজাউল করিম নাঈম ওই এলাকার চেরাগ মিয়ার ছেলে। সে এ বছর মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। তারা দুই ভাই ও একবোন। নাঈম পরিবারে সবার বড়। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী নুরুল মিয়া নাঈমের বাবা চেরাগ মিয়ার সাথে ফেসবুক আইডি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে  রনি ও তার বাবা নুরুল মিয়াসহ কয়েককজন মিলে নাঈমের বাবা ও মায়ের উপর আক্রমণ চালায়। মূলত ওই ঘটনা সমাধানে এগিয়ে আসেন নাঈম ও তার বোন। এর পর তাদের ওপরও চালানো হয় হামলা। এরপর নাঈমকে নুরুল মিয়া ও তার ছেলে রনিসহ কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত গুরুতর অবস্থায় নাঈমকে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় সিলেট এমএজি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন আবস্থায় বুধবার ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে নিহত নাঈমের মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ বাড়ি বর্ষিজোড়ায় নিয়ে আসে। পরে নামাজের জানাজা শেষে দাফন কাফন সম্পন্ন করা হয়।

নিহত নাঈমের বোন তায়িবা জানান, তার ভাইয়ের কোনো অপরাধ নেই। হামলাকারীরা ফোন করে বাড়িতে এসে আমাদের ঘরে ঢুকে আমার আব্বার সাথে ফেসবুক আইডি নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু করলে তা সমাধানে এগিয়ে যায় আমার ভাই। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই। 

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা। মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতেও অভিযান চলছে।