২৭ কেজি গাঁজা ও ৬৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দসহ দুই মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৩, ১২:৪০ রাত
ছবি সংগৃহীত
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা ও দেশব্যাপী মাদকদ্রব্যের বিস্তাররোধে ‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ এই স্লোগানে উজ্জ্বীবিত হয়ে র্যাব-১৫, কক্সবাজার কর্তৃক প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, একটি প্রাইভেটকার যোগে কতিপয় মাদক কারবারী মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পে একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন হারবাং ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডস্থ গয়ালমারা ষ্টেশন এর দক্ষিণ পাশে উত্তর হারবাং গয়ালমারা চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার মহাসড়কের রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। এ সময় একটি প্রাইভেটকার দ্রুত গতিতে চেকপোষ্ট অতিক্রমের একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং অপর এক মাদক কারবারী কৌশলে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় উক্ত প্রাইভেটকারে মাদক মজুদ রয়েছে মর্মে জানায়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেহ ও গাড়ি তল্লাশী করে তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ২৭ (সাতাশ) কেজি গাঁজা ও ৬৮ (আটষট্টি) বোতল ফেনসিডিল (প্রতিটি ফেন্সিডিলের বোতলের গায়ে লেবেলে ইংরেজীতে Triprolidine Hydrochloride & Codeine Phosphate Cough Syrup PHENSEDYL লেখা আছে) উদ্ধারসহ মাদকদ্রব্য পরিবহনে ব্যবহৃত উক্ত প্রিমিও প্রাইভেটকার (রেজিঃ নং চট্ট-মেট্রো-গ-১৩-৭৩৬৯), গাড়ীর রেজিষ্টেশন সনদ, ফিটনেস সনদ, টেক্স টোকেন, ০১টি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ০৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয় ১। মিনহাজুর রহমান @ মিনহাজ (২৪), পিতা-মৃত নজরুল ইসলাম, মাতা-জয়নাব বেগম, সাং-বোয়ালীয়া পাড়া, ০৭নং ওয়ার্ড, সাতকানিয়া পৌরসভা, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। মোহাম্মদ মোস্তফা (২৫), পিতা-মোহাম্মদ আলী, মাতা-মৃত মনোয়ারা বেগম, সাং-আবু জাফর রোড, চর চাকতাই (রাজা মিয়া বাড়ী), থানা-বাকলীয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমান ঠিকানা-জমিদার পাড়া, মাহমুদুল হক সওদাগরের বাড়ী, ০৫নং ওয়ার্ড, থানা-লোহাগাড়া, জেলা-চট্টগ্রাম বলে জানা যায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃতরা পালিয়ে যাওয়া সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা বেশ কিছু দিন ধরে পলাতক মাদক কারবারীসহ পরস্পর যোগসাজসে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেনসিডিলের ব্যবসা করে আসছে। চক্রটি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদক সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ এবং পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দায় অবলম্বন করে মাদক পরিবহনের কাজে প্রাইভেটকার ব্যবহার করতঃ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে এই মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে আসছিল।
উদ্ধারকৃত মাদক ও আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।