ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর রানু খাতুনকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুজিবর রহমানকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ১১:৩৬ রাত  

ছবি সংগৃহীত

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ভিকটিম মোছাঃ রানু খাতুন (৩২) রঘুনাথপুর গ্রামের ছিদ্দিক আলী সরদারের কন্যা এবং আসামী মুজিবুর রহমান (৩৫) এর স্ত্রী। গত ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সকালে ভিকটিম মোছাঃ রানু খাতুন এর সাথে আসামী মুজিবুর রহমান এর পারিবারিক কলহের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ভিকটিমের স্বামী আসামী মুজিবুর রহমান লোহার শাবল দিয়ে মাথার ডান পাশে  স্বজোরে দুইটি আঘাত এবং নাকের নিচে একটি আঘাত করে স্ত্রী রানু খাতুনকে হত্যা করে। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ভিকটিমের মা মোছাঃ বেলফুল বেগম বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।

 আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সাত বছরের শিশু’কে ধর্ষণ; মামলা রুজু হওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম (৪৭)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম

এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সকালে র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামী মুজিবুর রহমান (৩৫) পলিয়ে শ্যামনগর থানায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি অদ্য ১৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ তারিখ দিবাগত রাতে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মুজিবুর রহমান (৩৫), পিতা- মোঃ ইমান আলী গাজী, সাং- গোদখালী, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করে। প্রকাশ থাকে যে, ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবং মামলা রুজুর ১০ ঘন্টার মধ্যে শ্যামনগর থানার সুন্দরবন সংলগ্ন ধুমঘাটা এলাকা থেকে আসামীকে গ্রেফতার করা হয় উক্ত আসামী ভারতে পলায়নের জন্য অপেক্ষমান ছিল ।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া হস্তান্তর করা হয়েছে।