রাজধানীতে তিন পুলিশের নেতৃত্বে ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট
প্রকাশিত: জানুয়ারী ০৪, ২০২৪, ১১:৫৫ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০০ ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাদের মধ্যে একজন পুলিশের এএসআই। তদন্তসংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই এসআইসহ পুলিশের আরও এক উপপরিদর্শক ও এক সহকারী উপপরিদর্শকের নেতৃত্বে সোনা লুটের ঘটনাটি ঘটেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- এএসআই গিয়াস উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন (লিটন), গোলাম সারোয়ার (৪৯), আনিস মোল্লা (৩০), সুজন চন্দ্র দাস (২৯) ও আমির। এদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন ও আমির ছাড়া বাকি চারজন এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম গৌরাঙ্গ দত্ত। গাজীপুরের টঙ্গী বাজারের সোনালী মার্কেটে তার শিল্পী জুয়েলার্স নামে একটি দোকান আছে। ঘটনার আগের দিন (১৩ ডিসেম্বর) দোকানের ওই স্বর্ণ (প্রায় দুই কোটি টাকা দাম) নিয়ে তিনি পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে গলিয়ে এনে উত্তরার বাসায় রাখেন। পরদিন ভোরে ওই স্বর্ণ নিয়ে দোকানের উদ্দেশে বের হন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউছুল আজম অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছালে, চারজন লোক মাইক্রোবাস থেকে নেমে ডিবি পরিচয়ে অনিককে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলেন। পরে তার কাছ থেকে স্বর্ণ ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে মেট্রোরেলের উত্তরা স্টেশনের কাছে ফেলে যান।
পুলিশ জানায়, ঘটনা তদন্তে নেমে তারা তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত একজনের মোবাইল ফোনের অবস্থান গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকায় শনাক্ত করে। পরে গত ২৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় সহকারী উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের বিমানবন্দর সড়কে আটকে মালামাল লুটে নেয়ার ঘটনায়ও এই চক্র জড়িত বলে তারা সন্দেহ করছেন। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে জোরালো চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে।