গোপালগঞ্জে ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ০২:৩০ দুপুর
ছবি সংগৃহিত
এবছর গোপালগঞ্জে ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্র্ ানির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৩৮ হেক্টর , মুকসুদপুর উপজেলায় ১৩ হাজার ৩০৬ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ১১ হাজার ৭৩৬, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৬ হাজার ৪৯৯ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮ হাজার ৯০১ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষামাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমি আবাদের জন্য ৪ হাজার ৬৬৯ হেক্টরে বীজতলা প্রস্তুত করেছে কৃষক। এখন জমি চাষ দেওয়া হচ্ছে। চাষ শেষে জমি প্রস্তুত করে কৃষক বোরো আবদে মাঠে নেমে পড়েবেন। ইতি মধ্যেই কিছু কিছু জমিতে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। আগামী ১০ /১৫ দিনের মধ্যে এ জেলায় বোরো ধান রোপণের উৎসব শুরু হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ধানের জেলা গোপালগঞ্জে ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বান্ধব সরকার জেলার ৫ উপজেলার ৭০ হাজার কৃষককে কৃষি প্রণোদনার বীজ-সার বিনামূল্যে প্রদান করেছে। এরমধ্যে ৪০ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে মোট ৮০ হাজার কেজি হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এছাড়া ৩০ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) উফশী ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এসব বীজও সার দিয়ে ৭০ হাজার কৃষক ৭০ হাজার বিঘা জমি চাষাবাদ করবেন। গত নভেম্বর মাসেই এসব সার-বীজ প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসরাণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষককে হাইব্রিড ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার ২০ হাজার ৯৩৮ হেক্টর জমির মধ্যে ১৭ হাজার ১২৯ হেক্টরে হাইব্রিড ধানের আবাদ হবে। আর ৩ হাজার ৮০৮ হেক্টরে উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) উফশী এবং ১ হেক্টরে স্থানীয় জাতের বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। কৃষকরা প্রণোদনার বীজ-সার পেয়ে বোরা আবাদে মাঠে নেমে পড়েছেন। কৃষকের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে এ বছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হতে যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিড়পাড়া উপজেলার ডুমরিয়া গ্রামের কৃষক রমিজ তালুকদার বলেন, ধানের হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) উফশী জাত আসার পর ধান চাষ করে আমরা অধিক ফলন পেয়ে লাভবান হচ্ছি। তাই আমাদের এলাকায় ধানের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর সরকারি বীজ-সার বিনামূল্যে পেয়েছি। পাশাপাশি বাজারে বীজও সার সহজে পাওয়া গেছে। তাই সব মিলিয়ে এ বছর ২ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করব। ইতিমধ্যে বীজতলা সম্পন্ন করেছি। এখন ট্রাকটর দিয়ে জমি চাষ দিচ্ছি। জমি প্রস্তুত হওয়ার পর ধান রোপণ শুরু করব। আশাকরছি ১০/১২ দিনের মধ্যে জমিতে ধান রোপণ করতে পারব ইনশাল্লাহ।
২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন