গোপালগঞ্জে ৩৫ টি জাতের ধান নিয়ে ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩, ০৩:৪৩ দুপুর
ছবি সংগৃহিত
গোপালগঞ্জে আমান মৌসুমের চাষ উপযোগী রোপা আমন ধানের জাত মুল্যায়নে ৩৫ টি জাতের ধান নিয়ে ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করা হয়েছে। এ ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে কৃষক তার জমির জন্য উপযোগী এবং পছন্দের ধানের জাত বেছে নিতে পারছেন ।
ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের ( আইআরআর ) অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( বশেমুরবিপ্রবি) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজির বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে এ ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া স্থাপন করেছে । এখানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি ধান ৫১, ৫২,৭০,৭১,৭২,৭৩,৭৪, ৭৬,৭৭, ৭৮,৭৯, ৮০,৮৭ , ৯৩,৯৪,৯৫, সুগন্ধি ধানের জাত ব্রি ধান ৯০, বি আর ১১, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা ধান ১৭, ২২, ২৩ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে প্রচলিত স্বর্ণা, সারথী ১৫, সুপ্রীম স্বর্ণালী ধান ২, সারথী ১৪ অ্যারোমেটিক, সারথী ১৪ নর্থ অ্যারোমেটিক, সুবর্ণ ৭, এলটিডিএইচডি-২৩-১,
এলটিডিএইচডি-২৩-২,ইস্পাহানি -৬, ইস্পাহানি -৯, বিইউ ধান ১, এএস(১০০-০০১) নিয়ে সর্বমোট ৩৫ টি ধানের জাত এ ক্রপ ক্যাফেটেরিয়ার স্থান পেয়েছে ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, এ ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া স্থাপন অত্যন্ত সময় উপযোগী পদক্ষেপ। এখান থেকে চাষীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন ফসলটি তার জমির জন্য উপযোগী এছাড়া এসব ধানের গুনাগুন এবং এর ফলন সম্পর্কেও এখান থেকে পূর্ণাঙ্গ ধারনা পাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিটিউট, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট যে সকল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে তার সব জাত সব ধরনের জমির জন্যে উপযোগী নয় । এ ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া কৃষকদের তার জমির জন্য উপযোগী জাত নির্বাচনে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে ।
বশেমুরবিপ্রবির কৃষি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিলহাস আহমেদ জুয়েল বলেন, এ ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করে আমরা কৃষকদের মাধ্যমেই জাতগুলোর মূল্যায়ণ করাতে পেরেছি । এসব জাতের মধ্যে থেকে তারা সনতনী বিভিন্ন ধানের জাতের গুনাগুন সম্পন্ন অনেক হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত খুজে পেয়েছে । আগামীতে এ ক্রপ ক্যাফেটোরিয়ার সঙ্গে আরো বেশি কৃষককে সম্পৃক্ত করতে পারলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষক লাভবান হবেন ।
কাজির বাজার এলাকার কৃষক মজলেম মোল্লা বলেন, আমাদের এলাকায় একসাথে এত ধানের আবাদ প্রথম। এখান থেকে আমরা আমাদের জমির জন্য উপযোগী ধান পছন্দ করেছি। পছন্দের ধান রোপণ করে আগামীতে আমরা লাভবান হব।
একই গ্রামের কৃষক রমজান হোসেন বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে ধান চাষ করে লাভ হয় না। তাই ধান চাষ প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। অধুনিক পদ্ধতির ধান চাষ লাভ জনক।ক্যাফেটোরিয়া স্থাপন করে আমাদের হাতে কলমে দেখানো হয়েছে। কারণ ক্যাফেটোরিয়ায় আমরাই চাষাবাদ করেছি। তাই আগামীতে লাভ জনক ধানের চাষ সম্প্রসারণ করব।
২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন