আখ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে কুমিল্লার চাষিরা
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩, ০৭:৩৫ বিকাল
ছবি সংগৃহিত
জেলায় আখ চাষের আবাদ বাড়ছে। আর আখ চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। কয়েক বছর ধরে কৃষকরা আখ চাষ করে প্রত্যাশিত ফলন পাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও জেলার কৃষকরা আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ক্ষেত থেকে আখ কেটে বাজারে বিক্রি করার জন্য তুলছেন তারা। বাজারমূল্যও ভালো পাচ্ছেন। আখের দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাশ এলাকার চাষি আখলাক মিয়া বাসসকে বলেন, এ বছর আমি ছয় বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। আর জমি তৈরি, চারা কেনা, শ্রমিক, সার, কীটনাশকসহ আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। আশা করছি দুই লাখ টাকার ওপরে আখ বিক্রি হবে। আখচাষি জয়নাল হোসেন বাসসকে বলেন, এ বছর আমি দুই বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। বাজারে আখের দাম ভালো হওয়ায় আমি লাভবান হতে পারব।
কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে তিতাস ও মেঘনা উপজেলা ছাড়া বাকি ১৫টি উপজেলাতেই আখের চাষ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০০ হেক্টর, আর আখ চাষ করা হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ বেশি হয়েছে। এতে ফলন উৎপাদন হয়েছে ২৯ হাজার ৪২০ টন।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, কয়েক বছর ধরে জেলায় আখ চাষের আবাদ বাড়ছে। এ বছর আখ চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। আখ ক্ষেতে সাথী ফসল আবাদ করে তা থেকে আখ চাষের খরচ উঠে আসে। পরে আখ বিক্রির টাকা এককালীন লাভ হিসেবে চাষিরা পেয়ে যায়। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে আখচাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কৃষক আখ চাষে জড়িত। উপসহকারী কৃষি অফিসাররা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।