ঢাকা, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

চারিদিক থেকে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে রাহুলকে

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ০৫:১৩ বিকাল  

ছবি সংগৃহীত

ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কেএল রাহুলকে প্রথম ম্যাচের পর থেকেই অনেক বেশী সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলকে রক্ষা করার পরও এই ধরনের বিষয় সত্যিই হতাশাজনক বলে স্বীকার করেছে রাহুল। 

গত মে মাসে ইন্ডিয়ান  প্রিমিয়ার লিগে(আইপিএল) কুচকির  ইনজুরিতে পড়ে  প্রায় এক মাস মাঠের বাইরে ছিলেন রাহুল। গত মাসে এশিয়া কাপের মাধ্যমে তিনি মাঠে ফিরেন। টুর্নামেন্টের  শিরোপা জয়ী ভারতের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন রাহুল। গতকাল স্টার স্পোর্টসকে রাহুল বলেছেন, ‘আমাকে অনেক বেশী সমালোচনা শুনতে হচ্ছে। প্রতি ম্যাচে আমার পারফরমেন্স নিয়ে প্রত্যেকেই অনেক কথা বলে। আমার সাথেই কেন এটা হয় আমি জানি না। আমি তো ভালই পারফরর্ম করেছি। এ কারনেই  বিষয়টি হতাশার।’

এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচ খেলতে না পারা রাহুল পরের তিন ইনিংসে ১৬৯ রান সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ছিল একটি সেঞ্চুরি। ৮৪.৫০ গড়ে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৯.৪১।  ৩১ বছর বয়সী রাহুল কলেন, ‘আমি জানি ইনজুরির সময় কতটা ব্যাথা আমাকে সহ্য করতে হয়েছে। ফিরে আসার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি। এরপর আবারো আইপিএলএ ইনজুরিতে পড়ি। ঐ সময় দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়ছে। বিশ্বকাপে খেলাও শতভাগ নিশ্চিত ছিলনা। সে কারনেই আমার সময়টা মোটেই সহজ ছিলনা।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট পতনের পর রাহুলের অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয়। চতুর্থ উইকেটে  বিরাট কোহলির সাথে রাহুল ১৬৫ রানের ম্যাচ জয়ী পার্টনারশীপ উপহার দেন। ইনজুরির সময়টা তিনি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখেছেন। আর মনের জোড়েই তিনি নিজেকে ফিট করে তুলেছেন। এ সম্পর্কে রাহুল বলেন, ‘আমি পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত ছিলাম। সত্যিকার অর্থেই আমি দারুন ইতিবাচক ছিলাম। একটি বিষয় সবসময় আমার মনের মধ্যে ছিল, যেকোন ভাবেই ঘরের মাঠের এই বিশ্বকাপে আমাকে খেলতে হবে। প্রতিদিন সকালে এই একটি বিষয় আমি মনে করেছি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর একটি চিন্তাই মাথার মধ্যে ছিল আমাদের বিশ্বকাপ জয় করতে হবে। এটাই আমার একমাত্র চালিকাশক্তি ছিল। একজন ক্রিকেটারের মনে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন সবসময়ই থাকে। আমি সত্যিই দারুন উত্তেজিত।’