ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবাসীদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন চেয়ে রিট

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০৫, ২০২৩, ০৬:২২ বিকাল  

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় সংসদে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন চেয়ে রিট করা হয়েছে।

রোববার (৫ নভেম্বর) এ রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।আমেরিকা প্রবাসী জনৈক আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা এ রিট করেন। রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী হয়েছেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম।

গত ১৫ অক্টোবর জনৈক আবুল কালাম আজাদ ও এস এম রফিকুল পারভেজ ‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী প্রবাসীদের মধ্যে থেকে নিয়োগ করাসহ জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন সংরক্ষণের আবেদন’ শীর্ষক একটি আবেদন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব বরাবরে দেন। 

আরও পড়ুনঃ হোমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে যা বললেন আলোচিত সেই মেকআপ আর্টিস্ট মিহির 

ওই আবেদনে বলা হয়, আমরা আবুল কালাম আজাদ ও এস এম রফিকুল পারভেজ বাংলাদেশের নাগরিক আমেরিকা প্রবাসী, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। বাংলাদেশের সব মানুষের মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার সমগোত্রীয় এবং মৌলিক অধিকারের অন্তর্গত নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিক আইনগত সংবিধানগতভাবে সুরক্ষিত অধিকার সমানভাবে ভোগ করবে। কিন্তু প্রায় আড়াই কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি অন্যান্য নাগরিকের মতো সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন না। 

আবেদনে আরও বলা হয়, ... রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীদের জন্য সংসদের আসন সংরক্ষণ না করাকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে। বৈষম্যমূলক আচরণ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবেন। কিন্তু প্রবাসী ভাই-বোনেরা সমান অধিকার ভোগ করতে পারছেন না।

প্রবাসী ভাই-বোনেরা দেশে-বিদেশে বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত। প্রবাসীদের কথা বলার জন্য মহান সংসদে কোনো প্রতিনিধি নেই। তাই প্রবাসীদের জন্যও সংসদে আসন সংরক্ষণ করা হোক। 

তাই প্রবাসীদের জন্য সংসদে নির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণ করার আবেদন যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত আবেদন। এই আবেদনে সাড়া না পেয়ে তারা ১ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। 

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন

রিট আবেদনে মন্ত্রণালয়ে রিটকারীদের আবেদন কেন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং প্রবাসীদের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।