ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

বিএনপি শূন্য করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে : রিজভী

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০৪, ২০২৩, ১০:৪৭ রাত  

ছবি সংগৃহীত

বিএনপি শূন্য করতে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে গ্রেপ্তার থামছে না। দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত গ্রেপ্তারের যে হিড়িক চলছে, যে ধারা চলছে সেটা ভাষায় বলা যাবে না। আক্রমণে আক্রান্ত হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনাও কিন্তু থামছে না।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৬ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় ৫৭৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৭১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট মামলা হয়েছে ৫০৬টির বেশি এবং মোট আসামি ৩৮ হাজার ৫৬০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের আর আহত হয়েছে ৫ হাজার ৭৮০ জন।

আরও পড়ুনঃ বিএনপির এমরান সালেহ প্রিন্স ‌‘আটক’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকার যে কি স্বাদ তা শেখ হাসিনা পেয়েছেন। সেই স্বাদের কারণে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান না। দরকার হলে আরও যদি রক্ত ঝরাতে হয়, রক্ত ঝরিয়ে হলেও তিনি একতরফা নির্বাচন করবেন।

তিনি বলেন, বিদেশি একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণই নাকি তার মূল শক্তি। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিজে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিচ্ছেন না কেন? জনগণ সঙ্গে থাকলে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে ভয় পাচ্ছেন কেন?

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিষাক্ত মোহরের আছড়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে ছিন্নভিন্ন করতে চাচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাস যারা করবে তারা কেউ যেন পার না পায়। যদি কেউ ধরা পড়ে তাকে ধারে ওই আগুনে ফেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভয়ানক অগ্নিকুণ্ডলী বিএনপির নেতাকর্মীদের নিক্ষেপের হুমকি, ভয়ংকর সর্বনাশী হুমকি।

বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যারা কারাগারে বন্দি নেতাদের বোমা ছুড়ে মারার মিথ্যা মামলা দিতে পারে তারা শান্তিপূর্ণ অবরোধকারী নিরীহ নেতাকর্মীদের অগ্নিসন্ত্রাসী বানিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে পারে। এটা অসম্ভব কিছু না। তাদের দ্বারাই এটা সম্ভব।

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন

তিনি বলেন, মন্ত্রীরা জাতিসংঘ, গণতান্ত্রিক দেশ ও মানবাধিকার সংস্থার আহ্বান আমলে নেওয়া তো দূরে থাক, তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২৮ অক্টোবরে ফুটেজ যেগুলো প্রকাশ পেয়েছে তার প্রতিটাতে দেখা যায়, পুলিশের পাশে লাঠি নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা আছে। বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধে পুলিশ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগ একযোগে মোকাবিলা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডাররা একে অপরের পরিপূরক।