ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১

গাইবান্ধার সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০৭:৪২ বিকাল  

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানীতে সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও  কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মো. আইয়ুব আলী সরকার। অবকাঠামো নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান,প্রবীন শিক্ষক অমূল্য চন্দ্র সাহা,প্রবীন শিক্ষক রেবতী মোহন রায়,কামারজানী বনিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার সাহা,কামারজানী মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.ফারুকুল ইসলাম,রাজনৈতিক নেতা মো. শাহজামাল হোসেন,মো.খোরশেদ আলম,ক্বওমী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা আব্দুর রউফ প্রমূখ। 
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কামারজানী মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুকুল ইসলাম। 
কামারজানী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী কামারজানীতে কলেজ স্থাপনের মধ্যদিয়ে উচ্চ শিক্ষার প্রচার ঘটবে। চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে কলেজটি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে। সমাজের বিত্তবান ও সামাজিক ভাবে কলেজের সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। 
প্রবীন শিক্ষক বেরতী মোহন রায় বলেন,এলাকায় তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে কিন্তু কলেজ নিকটবর্তী না থাকায় এসএসসি পাশ করে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষায় অনাগ্রহী হয়। কলেজটি স্থাপন হওয়ায় কামারজানীসহ পাশ্ববর্তী এলাকার জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখবে। 
শিক্ষাগুরু অমূল্য চন্দ্র সাহা বলেন,ঐতিহ্যবাহী কামারজানী বন্দরে একটি কলেজ এটা স্বপ্ন ছিল। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে দেখার সৌভাগ্য হলো। আমি অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়েছি এবং অনেকে ভেবে ছিল যে এতো বৃহৎ কাজ করা সম্ভব নয় কিন্তু আজ নিজের হাতে ভিৎ রচনা করে গেলাম। 
সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান,আমরা ৪০ বছর আগে কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে সফল হতে পারিনি। আজ সেই ব্যর্থতার গ্লানি মুছে গিয়ে অবশেষে কলেজ স্থাপন করছি। এই কলেজ সর্ব-জনীন এবং এলাকার মানুষের সম্পদ। তাই কলেজের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এম. সাদ্দাম হোসেন পবন বলেন,যে যত ঘাম ঝড়াবে সে তত অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে।
এলাকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিকটবর্তী কলেজ না থাকায় ৪০ ভাগ ঝড়ে পড়ে যা অত্যন্ত হতাশা জনক। চরাঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ না থাকায় শিক্ষার হার ক্রমশ কমছে। এসব বিষয় অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ায় আমরা কলেজ স্থাপন করেছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আগামীতে এই কলেজ ডিগ্রি পর্যায়ে নিয়ে যাবো।