জেনারেটরের তেল নিতেও লাগবে পুলিশের ছাড়পত্র
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০১:০৭ দুপুর
তেলের পাম্পগুলো থেকে খোলা ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। লিখিত এই নির্দেশনায় বাড়ি, কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি কিনতে হলে থানা থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিতে বলা হয়েছে। গতকাল শনিবার ডিএমপি ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে।অবরোধ ও হরতালে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রোল বোমা হামলা ঠেকাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেখে তেল বিক্রি করার পর সেটি পেট্রোল ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বাড়াবে। সহকারী পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ এলাকার পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনের মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন। এর মাধ্যমে স্টেশন মালিকরা নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।
সংশ্লিষ্ট থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা, পরিদর্শক (তদন্ত বা অপারেশনস), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে এসব সরঞ্জামের কার্যকারিতা যাচাই করতে হবে। এ ছাড়া রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ বন্ধ রাখতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮-এর লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে।