কাকরাইলে পুলিশ বক্স ও গাড়িতে আগুন, মসজিদের সামনে বিজিবি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৩, ০৩:০১ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বেলা একটার কিছু আগে এ ঘটনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারতে শুরু করে।
কাকরাইল মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বেলা সোয়া একটার দিকে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে রাখা গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কাকরাইল মসজিদের সামনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের দেখা গেছে। চারটি গাড়িতে করে তাঁরা এসেছেন।
কাকরাইল মসজিদের সামনের এলাকায় অনেক সময় ধরেই বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী একটি বাস ও দুটি পিক-আপে হামলা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
হামলাকারীরা বাসটি ভাঙচুর করেন। ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, হামলা শুরু হলে বাস ও পিকআপ থেকে নেমে দৌড়ে স্থান ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই সময় তাঁদের লাঠি হাতে ধাওয়া দেন বিএনপির কর্মীরা। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিএনপির কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার।
আরও পড়ুনঃশুরু হয়েছে বিএনপির মহাসমাবেশ
বাস ভাঙচুরের পর বেলা পৌনে একটার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনের এলাকায় আরেক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি কয়েকটি ব্যানার নিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন।
কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে একদিকে জড়ো হন বিএনপির নোত–কর্মীরা
এরপরই পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষ কীভাবে শুরু হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। কাকরাইলে পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও সমাবেশ চলছে।