ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন রাঙামাটির কবি মৃত্তিকা চাকমা

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৬, ২০২৪, ০৮:৪০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছেন রাঙামাটির বিশিষ্ট কবি, লেখক ও নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমা। পুরস্কার অর্জন করায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাহাড়ের রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের মানুষ।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি এই বছর পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে। রাঙামাটির লেখক মৃত্তিকা চাকমা নাটক ও নাট্য সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় তার নাম বাংলা একাডেমির এ তালিকায় উঠে আসে।

মৃত্তিকা চাকমা নাটক ও সাহিত্যে তার গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষর রেখেছেন দীর্ঘসময় ধরে। তার সৃষ্ট নাটকের মধ্যে দেবঙসি আহধর কালা ছাবা (১৯৮৯), গোঝেন (১৯৯০), মহেন্দ্রর বনবাঝ (১৯৯২), একজুর মান্নেক (১৯৯৩), জোঘ্য (১৯৯৯), হককানির ধনপানা (২০০১), একাত্তর তরুণী (২০০২), ভূত, থবাক (২০০৫), বান (২০০৮), কর্মফল (২০১২), মোনফুল (১৯৯০), উদোশিঙর খানা গুদি (১৯৯৭), তুলোপুধি বাবর মাধা ধনা (১৯৯৭),  গুণমনে স্কুলত যেব (২০০০), নেতার চবাত (নাটিকা), থগ (নাটক), জামেই মারা (চাকমা কিংবদন্তী নাটক), কুন্ডলী বালার অর্হত (কাব্য নাটক), আভা (পরিবেশ বিষয়ক চাকমা নাটিকা), শান্তি দেবী জদন হলা (নাটিকা), আঙস্যা সদগ (নাটিকা), জামুরো (নাটিকা), শিদোলো তাবা দি' বিনি ভাত (নাটিকা), পার্বতী মা (নাটিকা), চন্ডি চরনার খানাগুলি (নাটিকা), কাবাহুল (নাটিকা), ছি মোকে লাদি ভাত (নাটিকা), নিজ অহরখ শিখিবং (নাটিকা), তানজাং (নাটিকা) উল্লেখযোগ্য।

মৃত্তিকা চাকমা অনূদিত নাটকগুলো হলো, গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের 'ইডিপাস' নাটক (১৯৮৪), জাপানি নাট্যকার ইয়ামামতো ইউজোর নাটক অবলম্বনে 'একশ বস্তা চোল' (২০১৮)।

তার লেখা কবিতার মধ্যে বাংলা কবিতা- এখনো পাহাড় কাঁদে (২০০২), এবং চাকমা কবিতা ‘দিকবন সেরেত্তুন’ (১৯৯৫) ‘মেঘ সেরে মোনো চুক (২০১১) ও নাটক ‘শান্তির সন্ধানে’ উল্লেখযোগ্য।

মৃত্তিকা চাকমা ১৯৫৮ সালের ১২ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা মৌজার মুগছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ অনার্স ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করায় তার অনুভূতি জানতে চাইলে মৃত্তিকা চাকমা বলেন, এই অর্জন আমার একার নয়। এই অর্জন ও সম্মান পাহাড়ের সর্বস্তরের মানুষের। আমি বাংলা একাডেমির সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এবার যারা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন তাদেরকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও নাট্যকারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।