ঢাকা, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

অনিয়ম, হয়রানি, দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তিন এনফোর্সমেন্ট অভিযান

বিডি ট্রিবিউন টোয়েন্টিফোর রিপোর্ট :

 প্রকাশিত: জুলাই ০১, ২০২৫, ১২:৩১ রাত  

অনিয়ম, হয়রানি, দুর্নীতির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দুদক জানায়, চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও অনিয়ম এবং রোগীদের নিম্নমানের খাবার প্রদানসহ নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চাঁদপুর হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের শুরুতে টিম ছদ্মবেশে আগত সেবাগ্রহিতা/রোগীদের সাথে কথা বলে। এ সময় রোগীরা হাসপাতালের দায়িত্বরত কিছু নার্সদের দ্বারা খারাপ আচরণের শিকার হন মর্মে অভিযোগ করেন। এছাড়াও রোগীদের সরবরাহকৃত খাবারের পরিমাণ টেন্ডারের অর্ধেক পরিমাণে পাওয়া যায়। তাছাড়াও অফিস চলাকালীন সময়ে একজন ডাক্তার তার ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসা দিচ্ছেন মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিম প্রাথমিক প্রমাণ পায়। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যাবলির ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এদিকে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জয়পুরহাট -এ চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও তা শতভাগ দেখিয়ে বিল উত্তোলনসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নওগাঁ হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নির্বাহী প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ২.৫০ কিলোমিটার সড়ক এবং পাঁচটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়। টিম জানতে পারে, সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রথমে নাভানা কনস্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও চুক্তিভঙ্গের কারণে তা বাতিল করে রিলায়েবল বিল্ডার্স লিমিটেডকে নতুন কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। তবে, নির্ধারিত সময়সীমা কয়েক দফা বাড়ানো হলেও এখনও ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে টিম পরিলক্ষিত করে। এক্ষেত্রে গাফিলতির বিষয় যাচাইয়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম। পাশাপাশি অভিযোগে উল্লিখিত অন্য একটি প্রকল্পের পাঁচটি সেতু নির্মাণের কাজ টিম সরেজমিনে পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করে এবং দুই প্রকল্পের সকল রেকর্ডপত্র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে সংগ্রহ করে। সকল নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে টিম কর্তৃক কমিশনের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এছাড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নানাবিধ অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রাক্কালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) -এর দপ্তর হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকেতন, ঢাকায় অবস্থিত ফ্ল্যাটটি সরজমিন পরিদর্শন করা হয়। সরেজমিন যাচাইয়ে ২৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং প্রাইভেট কারের মালিকানার বিষয়টি নিশ্চিত হয় এনফোর্সমেন্ট টিম। এছাড়াও অভিযোগে বর্ণিত অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিসাপেক্ষে বিশ্লেষণপূর্বক টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।