গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবি টাকাগুলো সব বৈধ
পৈত্রিক জমি বিক্রির টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরা কালে সিংড়া চলন বিল গেটে পুলিশী তল্লাশির মুখোমুখি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

গাইবান্ধা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম।
গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ছাবিউল ইসলাম পৈত্রিক জমি বিক্রির টাকা সহ বাড়ি ফেরার সময় নাটোরের চলনবিল গেটে পুলিশ তল্লাশিতে তার প্রাইভেট কারটি জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেয় সিংড়া থানা পুলিশ। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার। তবে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবেই পরিচয় দেন এবং তল্লাশির আগে প্রাইভেট কারে থাকা টাকাগুলো বৈধ তা নিশ্চিত করেন বলে প্রাইভেট কারের ড্রাইভার জানান। প্রাইভেট কারে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার তিনশ টাকা ছিল বলে সূত্র থেকে জানা যায়।
এরই মধ্যে পুলিশের তল্লাশির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় জানান, গত শুক্রবার তিনি তার নিজ নামীয় জমি বিক্রির টাকাগুলো হাতে পাওয়ায় গ্রামের বাড়ি থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিলের গেটে তল্লাশির কবলে পড়ে তার প্রাইভেট কার এবং গাড়িতে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তল্লাশির আগেই তিনি তার গাড়ীতে পৈত্রিক জমি বিক্রির টাকা থাকার বিষয়টি পুলিশদের নিশ্চিত করেছেন। টাকার পরিমান বেশি হওয়ায় চেকপোস্টে তল্লাশির দায়িত্বরত পুলিশরা তড়িঘড়ি করে টাকাগুলো কোথায় তা জেনে বের করেন এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেন।
পরে প্রাইভেটকারসহ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিংড়া থানায় নেয়া হয় এবং টাকাগুলোর বৈধতা নিশ্চিত তথ্য চেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে গাইবান্ধা এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির টাকা এবং মিডলাইফ ইন্সুইরেন্সের জমানো টাকাসহ আমার বাসা রাজশাহীতে ফেরার পথে চলন বিল গেটে পুলিশ আমার গাড়ীর গতি থামিয়ে পরিচয়সহ গন্তব্য জানতে চায় এবং তল্লাশির আগেই গাড়ীতে থাকা আমার বৈধ টাকার বিষয়টি তাদের জানানোয় আচমকাই তাদের মধ্যে নানাবিধ কথা চলতে থাকে ও টাকা গাড়ির কোথায় রেখেছি সে তথ্যও তাদের বলেছি।
যেখানে জেলা শহরে এক শতাংশ জমির দাম ২০ লক্ষাধিক টাকা সেখানে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির টাকা ৩৬-৩৭ লাখ মোটেও অস্বাভাবিক পরিমান হতে পারে না।