গাইবান্ধার কামারজানীতে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত ৮
"দ্রুত অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর""
প্রকাশিত: জানুয়ারী ৩০, ২০২৫, ০৬:২৭ বিকাল
অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকৃত বালুসহ বাল্কহেট জব্দ করছে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানীর গোঘাটে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের হামলায় স্থানীয় ৮জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটার সময় বালু ব্যবসায়ী মো. রানা মিয়া,মো. জাহাঙ্গীর আলম, মিলন মিয়া গোঘাটে বাল্কহেট দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করার সময় স্থানীয়রা বন্ধ করতে বলায় তাদের উপর হামলা চালায় চক্রটি। স্থানীয়দের উপর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের হামলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে হাজারো জনসাধারণ প্রতিরোধ গড়তে ঘটনাস্থলে গেলে কৌশলে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে জনসাধারণ অবৈধ বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত দুটি বাল্কহেট আটক করে কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঘাটে রেখেছেন। পুলিশ ও সেনা বাহিনী এসে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন এবং পুলিশ বাল্কহেট দুটি জব্দ করেছেন।
কামারজানী ফসলি জমিসহ বন্দর রক্ষায় বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব মো. মাজু আহমেদ বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাতে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়দের উপর হামলা চালিয়ে ৮জনকে আহত করেছে। দ্রুত অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কামারজানী ফসলি জমিসহ বন্দর রক্ষায় বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব মো. ইকবাল হোসেন বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনের কাছে অনেক অভিযোগ দিয়েও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সেকারণেই বালু ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে।
স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠক এম সাদ্দাম হোসেন পবন বলেন, নদী থেকে যত্রতত্রে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে এলাকায় নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন অব্যাহত রেখেছে। বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় বালু ব্যবসায়ী চক্রটি স্থানীয়দের উপর হামলা করেছে যা অত্যন্ত দু:খ জনক।
কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী চক্রটি স্থানীয়দের উপর হামলা চালিয়ে ৮ জনকে আহত করেছে। এই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে দ্রুত প্রশাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে।