ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে নামও

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪, ০২:৫২ দুপুর  

সংগ্রহীত ছবি

নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে এ পদ্ধতিতে চলছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। নতুন কারিকুলামে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালে নতুন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। তবে সেখানে এ পরীক্ষার নাম বদলে যেতে পারে। এসএসসি পরীক্ষার নতুন কোনো নাম দেওয়া হতে পারে। তবে নতুন নাম কী হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা প্রথমবার নতুন কারিকুলামে ‘এসএসসি’ পরীক্ষায় অংশ নেবে। তবে তখন পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর। দশম শ্রেণির ১০টি বিষয়ের প্রতিটির ওপরই পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। এরমধ্যে একটি অংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়েই শিখনকালীন। বাকি আরেকটি অংশের মূল্যায়ন হবে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন। এখনকার মতোই কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ঠিক করে হবে এই পরীক্ষা।

শিখনকালীন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন সমান গুরুত্ব পাবে। সেক্ষেত্রে আগের নাম (এসএসসি) অনুযায়ী পরীক্ষা হবে নাকি নতুন নামে এ পরীক্ষাকে অভিহিত করা হবে সে বিষয়ে শিগগির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ নানান বিষয় যুক্ত করে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হওয়ার পর পাবলিক পরীক্ষার নাম কী হবে, তা বলা যাবে।

এদিকে, এনসিটিবির খসড়া অনুযায়ী—দশম শ্রেণির পর যে পাবলিক পরীক্ষা হবে, তাতে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে এক কর্মদিবসের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায়। বিরতি দিয়ে হবে এ পরীক্ষা। এরমধ্যে একটি অংশের মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। অর্থাৎ হাতে-কলমে শেখার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হবে।

আরেকটি অংশে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। সেখানে লিখিত উত্তরপত্র ব্যবহার করা হবে। লিখিত পরীক্ষার অংশ বিষয়ভেদে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে। সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, মূল্যায়নপদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলাপ–আলোচনা চলছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি ভালো কিছু হবে বলে আমরা আশা করছি।