ইজতেমার উভয় পক্ষকে মিলেমিশে থাকার অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৩, ২০২৪, ১২:২০ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
বিশ্ব ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতি সভায় প্রথম পক্ষের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আপনাদের (জোবায়ের গ্রুপ) দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতি বছর প্রথমেই সুযোগ করে দেই। সে দাবি রক্ষা করে সম্মানের সঙ্গে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন। যাতে কোনো প্রকার ভাঙচুর না হয়, কেউ যাতে কোনো অভিযোগ না করে, এটা আমার অনুরোধ। আমরা গতবারও শুনেছি ভাঙচুর হয়েছে, কিছু জিনিস খোয়া গেছে, নানা ধরনের কথাবার্তা শুনেছি। আমরা চাই সুন্দরভাবে মাঠটা বুঝিয়ে দেবেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলোআপ সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোববার থেকে কিছু ঘটনা ঘটছে, যা দুঃখজনক। সবার কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ রইলো, এসব ঘটনা আর ঘটাবেন না, সবাই মিলেমিশে থাকবেন। মসজিদে গিয়ে, আল্লাহর ঘরে গিয়ে আবার দখল-বেদখল করেন; এমন কিছু আমাদের জন্য লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকলো এসব কাজ থেকে আপনারা বিরত থাকবেন, মিলেমিশে চলবেন; আমাদের সে শিক্ষাটাই দেবেন। আল্লাহর দাওয়াতের শিক্ষাটা যেমন দিচ্ছেন তেমনি মিলেমিশে থাকার শিক্ষাটাও দেবেন।’
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের কাজে সহযোগিতা করবেন। বিশেষ করে এবার বিদেশি মেহমানদের জন্য নিরাপত্তাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। প্রথমপর্বে আগত বিদেশি মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতের পর বিমানবন্দর হজক্যাম্পে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে তারা তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরবেন। ইজতেমা আয়োজক কমিটির দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।’
সভায় ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘আমরা দ্বীনের কাজ করার জন্য, আল্লাহকে খুশি-রাজি করার জন্য কাজ করি। সেখানে আমাদের মধ্যে বিভেদ, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই না এই বিভেদটা আগামী দিনের জন্য থাকুক।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মো. সফিকুল ইসলাম, মাওলানা জোবায়েরপন্থি মুরুব্বি খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাদ অনুসারী মুরুব্বি ড. আব্দুস সালাম প্রমুখ।
আগামী ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্ব এবং চারদিন বিরতি দিয়ে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।