পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপির হাত আছে : কাদের
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০৬:৪৩ বিকাল
ছবি সংগৃহীত
পোশাক কারখানায় শ্রমিক আন্দোলনে স্পষ্টত বিএনপি ও তাদের দোসরদের কালো হাত আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, শ্রমিক আন্দোলনে তারাই (বিএনপি) উসকানি দিচ্ছে, তারাই গুজব সৃষ্টি করছে। তবে ষড়যন্ত্র করে তারা ২৮ অক্টোবরের মতো পরিস্থিতি তৈরি করবে, সে আশায় গুড়েবালি। কারও উসকানি ও গুজবে নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবির সমাধান হয়ে গেছে। বাকিটা সমাধানে শ্রমিকরা এগিয়ে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
আরও পড়ুনঃ গণতন্ত্রের চেয়ে নির্বাচনের গুরুত্ব বেশিঃ সিইসি
শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করবেন না। শ্রমিকরা বিভ্রান্ত হলে ক্ষতিটা দেশের এবং তাদের নিজেদেরও হবে। গুজব রটনাকারীদের ক্ষতি হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ তারিখে তাদের আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত, এটা বলা যায়। এখন স্বাভাবিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর তারা অস্বাভাবিক পথে চলতে শুরু করেছে। তাদের পুরোনো রাজনীতির অভ্যাস অগ্নিসন্ত্রাসের উপাদান যুক্ত করেছে। এসব করে তারা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সবশেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে পারছে না, চোরাগোপ্তা হামলা করছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। দ্রুতই তফসিল হয়ে যাবে। এখন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হাতে আছে। একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি, আরেকটি বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করে নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা। মনে রাখতে হবে ভিন্নমতের প্রতিকূল স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি আমরা। আজকে বিভিন্নভাবে সরকারবিরোধী চক্রান্ত চলছে, দেশ-বিদেশে সরকারবিরোধী তৎপরতা চলছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নাশকতাবিরোধী দল। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এমন অবস্থায় রাজপথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।