ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধ

আবারও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ ইসরায়েলি আয়রন ডোম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০৬, ২০২৩, ০৬:১০ বিকাল  

ছবি সংগৃহীত

আয়রন ডোম নিয়ে গর্বের শেষ নেই ইসরায়েলিদের। ড্রোন থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, সবটাই আটকে দেওয়া এর কাছে মামুলি ব্যাপার। এতদিন আয়রন ডোমের নজরদারি এড়ানো প্রায় অসম্ভব বলেই জানত বিশ্ববাসী। হামাসের পর এবার সে বিশ্বাসে চিড় ধরিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার আয়রন ডোমের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, আয়রন ডোমের একটি ইন্টারসেপ্টর মিসাইল বিকল হয়ে ইউ-টার্ন নিয়ে তেল আবিবের দক্ষিণে রিশোন লেজিয়নের জনবহুল এলাকায় পড়ে। কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক ভিডিওটি এক্সে শেয়ার করেছে। পরে সেটির সত্যতা যাচাই করেছে আলজাজিরা।

এ ঘটনার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে ইসরায়েলি চ্যানেল ১৩। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের কিরিয়াত শমোনা এলাকার দিকে এসব রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। লেবানন থেকে কিরিয়াত শমোনা এলাকার দূরত্বটা খুবই কম। এসব রকেট প্রতিরোধের জন্য যে সময় প্রয়োজন সে তুলনায় সময় কম পেয়েছে আয়রন ডোম। ফলে সেটি ঠিকমতো কাজ করেনি।

এর আগে গত ৭ অক্টোবরের হামলায় আয়রন ডোমকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছিল হামাস। এদিন ২০ মিনিটের মধ্যে গাজা থেকে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে হামাস যোদ্ধারা। এত কম সময়ের মধ্যে কয়েক হাজার রকেট হামলা ঠেকানোর জন্য পুরো শক্তি কাজে লাগিয়েছিল আয়রন ডোম। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে মুহুর্মুহু রকেট হামলায় প্রথম দিকে প্রায় দিশাহারা হয়ে পড়ে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের আয়রন ডোম মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা একটি স্বল্পপাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। মিসাইল বা রকেট প্রতিরোধক এই আয়রন ডোম মূলত তিনটি কাজ করে। রাডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করা, দ্রুত সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য তৎপর হওয়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে রুখে দেওয়া।

ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অন্যতম এটি। হিব্রু ভাষায় এর নাম কিপাট বারলজেল। কার্যকারিতার কারণেই ইসরায়েলের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এর সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি।

২০১১ সাল থেকে প্রতিরক্ষায় এটি ইসরায়েলের অন্যতম ভরসা। এটি অনেকবার নতুন করে আপডেট করা হয়েছে। ইসরায়েলের দিকে ছোড়া স্বল্প-পাল্লার মিসাইল ও রকেটকে মাঝপথে নাস্তানাবুদ করে ইসরায়েলি নাগরিকদের বাঁচাতে এটি তৈরি করা হয়েছে।

ইসরায়েলেই রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের আওতায় তৈরি করা হয়েছে আয়রন ডোম। এতে সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন। এখনো মার্কিনিরা এ আয়রন ডোম চালানোর খরচ বহনে সহায়তা করে চলেছে।