ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সংসদে পাস হয়েছে আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০২, ২০২৩, ০৮:০০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় সংসদে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন  বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সংঘটিত অপরাধের বিচার করার জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত গঠন করা যাবে এবং বিদ্রোহের মতো অপরাধের বিচার করার জন্য বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত গঠন করা যাবে। এই বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে বিদ্রোহের মতো অপরাধসমূহের জন্য মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা অন্যূন ৫ বৎসর সশ্রম কারাদন্ড আরোপ করা যাবে। 

বিলে বলা হয়েছে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্য ৯০ দিনের অধিক কারাদন্ডে দন্ডিত হলে তিনি সয়ংক্রিয়ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন। বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৫ সালে ব্যাটালিয়ন আনসার আইন (১৯৯৫ সালের ৪ নম্বর আইন) প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান ব্যাটালিয়ন আনসার আইন, ১৯৯৫ এ বিদ্রোহ ও তদ্সংশ্লিষ্ট গুরুতর অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান নেই। 

আরও পড়ুনঃ সারা দেশে ৬৬ হাজার আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জননিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তাকরণসহ এতদ্সংশ্লিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনে আনসার ব্যাটালিয়নকে আরও দক্ষ করার আবশ্যকতা রয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্রোহ সংঘটন সংক্রান্ত অপরাধ বিচারের বিধান অন্তর্ভুক্তকরণ এবং কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাটালিয়ন আনসার আইন, ১৯৯৫-এর অধিক সংশোধনকল্পে যুগোপযোগী একটি নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা থাকায় আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হচ্ছে।এই উদ্দেশ্য ও কারণে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন ২০২৩ বিল আকারে জাতীয় সংসদের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর সংসদে বিলটি তোলা হয়েছিল। সেখানে আনসার ব্যাটালিয়নকে অপরাধী আটক ও তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তাদের এই ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবে পুলিশের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বিলটির এ সংক্রান্ত ধারা সংশোধনের সুপারিশ করে।

২৩ অক্টোবর সংসদে উত্থাপিত বিলের ৮ ধারায় বলা হয়েছিল, কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করে অবিলম্বে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবে এবং ক্ষেত্র মতো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; কোনো স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি এবং মালামাল জব্দ করতে পারবে।

বিলের এই ধারায় সংশোধনী আনার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার পাস হওয়া বিলে ব্যাটালিয়ন সদস্যদের এখতিয়ার ও ক্ষমতা সম্পর্কিত এই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্য তার সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন

বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন সংসদে বিরোধী দলের সদস্য মুজিবুল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, রওশন আরা মান্নান, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, রুস্তম আলী ফরাজী ও স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।