ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ১৩৪২

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ১২:৫৫ রাত  

ছবি সংগৃহীত

৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে শূন্য পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসে নন-ক্যাডারে মোট শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪২টি। পদগুলোর মধ্যে নবম গ্রেডের ১৯৬টি, দশম গ্রেডে ৮৬১টি, ১১তম গ্রেডে ৬টি এবং ১২তম গ্রেডে ২৭৯টি। এসব পদে প্রার্থীদের কাছ থেকে পছন্দক্রম চেয়েছে পিএসসি।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রার্থীরা অনলাইনে পছন্দক্রম দিতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া চলবে ১৯ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। পছন্দক্রম ফরম পূরণের নির্দেশাবলী পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্য হতে যারা ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০২৩’ অনুযায়ী নবম থেকে ১২তম গ্রেডের নন-ক্যাডার পদে চাকরি পেতে আগ্রহী তাদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট নিয়োগবিধি অনুযায়ী যোগ্যতা রয়েছে, এমন প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক সুপারিশের জন্য ১ হাজার ৩৪২টি পদে পছন্দক্রম দেওয়ার জন্য অনলাইনে দরখাস্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ অনুযায়ী ক্যাডার পদে সুপারিশের পর অবশিষ্ট প্রার্থীদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, পরবর্তীতে নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা আরও বাড়তে-কমতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পিএসসি। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘সরকারের নিকট হতে প্রাপ্ত শূন্য পদের অধিযাচনের ভিত্তিতে কমিশন, সময়ে সময়ে, রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞাপিত প্রদের সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে।

অন্যদিকে বিজ্ঞপ্তির শর্তের অংশ বলা হয়েছে, পিএসসির ২০২৩ সালের ১০ম বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ‘দেশের বেকার সমস্যার তীব্রতা বিবেচনায় এবং আবেদনকারীর চাকরি পাওয়ার সম-অধিকার অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে ইতোপূর্বে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদেরকে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা যাবে না। যদি কোনো আবেদনকারী নন-ক্যাডার পদে কোনো উচ্চতর গ্রেডে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, তাকে তার সুপারিশপ্রাপ্ত গ্রেডের নিম্নতম গ্রেডে সুপারিশ করা যাবে না। তবে সমগ্রেডের ভিন্ন পদে সুপারিশ করা যাবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পিএসসির পরীক্ষা শাখার (ক্যাডার) একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে জানান, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার পদে সুপারিশের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। নন-ক্যাডার পদে পছন্দক্রম নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজও শেষ। আজই এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। সব কাজ শেষে চলতি মাসেই এ বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করতে চায় পিএসসি বলেও জানান তিনি।

গত ১১ ডিসেম্বর পিএসসির সামনে মানববন্ধন করে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল আলাদাভাবে প্রকাশের দাবি জানান কিছু চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের দাবি- ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের ফলাফল যেন আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়৷ যাতে নন-ক্যাডারে অধিক সংখ্যক পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়৷ চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, ৪০ ও ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে অনেক বেশি শূন্যপদে নিয়োগে সুপারিশ করা হয়েছে।

আলাদাভাবে ফল প্রকাশ করায় এটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আগের বিসিএস থেকে যাদের সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের সমগ্রেডে পুনরায় সুপারিশ না করারও দাবি জানান তারা। তারও আগে একই দাবি নিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, পিএসসির সব সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ৪৩তম বিসিএসের কিছু ফলপ্রত্যাশী।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।

৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।