ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব নিলেন পুতুল

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪, ১১:০০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ড. সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

গত ২৩ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় এই নিয়োগ অনুমোদিত হয়। পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি।

এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কমিটির ৭৬তম অধিবেশনে সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন ড. সায়মা ওয়াজেদ। তখন ওই পদের জন্য সায়মা ওয়াজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নেপালের ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য। সদস্য দেশগুলোর অংশগ্রহণে সরাসরি ৮-২ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি।

সায়মা ওয়াজেদ একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। বিশেষ করে অটিজমের ভূমিকার জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ডাব্লিউএইচও’র মহাপরিচালকের উপদেষ্টা। তার নাম এখন ডাব্লিউএইচও নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য জমা দেওয়া হবে। আগামী ২২-২৭ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ওই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর তিনি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এর সঙ্গে সায়মা ওয়াজেদ প্রথম বাংলাদেশি হবেন, যিনি ডাব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক বিভাগের অংশ হিসাবে ১৯৪৮ সালে তৈরি করা পদে অধিষ্ঠিত হবেন।

বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করেছিল। ডব্লিউএইচও দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলবিষয়ক অফিস ওই সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি। এটি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত।

সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।