ঢাকা, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১

জিম্মিদের বিষয়ে হামাস ও ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে রেড ক্রস

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৬:৩৫ বিকাল  

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) গাজায় জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য হামাস এবং ইসরাইলের সাথে যোগাযোগ করছে। আইসিআরসি বৃহস্পতিবার এ কথা জানায়।

শনিবার হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় সৈন্য, বেসামরিক নাগরিক, শিশু ও নারীসহ অন্তত ১৫০ ইসরাইলি এবং বিদেশীকে জিম্মি করা হয়েছে।নিকট ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য আইসিআরসি’র আঞ্চলিক পরিচালক ফ্যাব্রিজিও কার্বোনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জিম্মি এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগের সুবিধার্থে এবং মুক্তির যে কোন প্রয়োজনে একটি নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসাবে আমরা মানবিক পরিদর্শন পরিচালনার জন্য প্রস্তুত।কার্বোনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে জিম্মি করা নিষিদ্ধ এবং আটক যে কাউকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছে ব্রাজিল

আইসিআরসি ‘উভয় পক্ষকে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ কমাতে’ আহ্বান জানিয়েছে। শনিবারের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইল গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং ২০ লাখের ও বেশি দরিদ্র মানুষের অঞ্চলে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।হামাস দাবি করেছে, বন্দিদের মধ্যে চারজন ইসরাইলি হামলায় মারা গেছে এবং আগাম সতর্কতা ছাড়া বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা হলে অন্যদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানও জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। বুধবার গভীর রাতে একটি সরকারি সূত্র এএফপি’কে এ কথা জানিয়েছে।শনিবার থেকে যুদ্ধে ইতোমধ্যেই উভয় পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।তিনি বলেন, গাজা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায়, ‘হাসপাতালগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, নবজাতকদের ইনকিউবেটরে এবং বয়স্ক রোগীদের অক্সিজেন ঝুঁকিতে পড়ে। কিডনির ডায়ালাইসিস বন্ধ হয়ে যায়,এবং এক্স-রে নেওয়া যাচ্ছে না।’‘বিদ্যুৎ ছাড়া হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’

ইতোমধ্যে পানীয় জল সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়েছে, আরও দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে।তিনি বলেন, ‘কোন পিতা-মাতাই তৃষ্ণার্ত শিশুকে নোংরা পানি দিতে চান না।’

জাতিসংঘের মতে, গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫ বছরের মধ্যে পঞ্চম এই যুদ্ধে ছিটমহলের থেকে বেসামরিক নাগরিকদের পালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি ‘মানবিক করিডোর’ করার আহ্বান জানিয়েছে।