আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ১৪ জনের মৃত্যু, হতাহত বাড়ার শঙ্কা
প্রকাশিত: অক্টোবর ০৭, ২০২৩, ০৬:১৫ বিকাল
ছবি সংগৃহীত
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের হেরাত শহর। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু এবং ৭৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পের পর ৪ বার আফটারশকও অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ জানিয়েছে যে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল পশ্চিম আফগানিস্তানের বৃহত্তম শহর হেরাত থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
মোট পাঁচবার কম্পন অনুভূত হয়। রিখটাল স্কেলে সবচেয়ে বড় কম্পনের মাত্রাটি ছিল ৬.৩। এছাড়া বাকি কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৫, ৪.৭, ৫.৯ এবং ৪.৬। কম্পনে জেরে পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত শহরের একাধিক বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় মিলেছে ঝসের খবরও। প্রশাসনের তরফে অনন্ত একজনের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও, বহু মানুষ জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও করা হয়েছে আশঙ্কা।
এদিকে, ভূকম্পনের একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হয়েছে পোস্ট। ভিডিয়োগুলিকে কম্পনের সময় আতঙ্কে বহু মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে বের বয়ে আসেত দেখা গেছে। একই চিত্র ছিল হেরাথ শহরের দোকান এবং শহরের বহুতলগুলিকেও। আরেকটি ভিডিয়োতে প্রাণের ভয়ে একাধিক মানুষের বাইরে বের হয়ে পালাতে দেখা যায়।
ছবি সংগৃহীত
হেরাথের বাসিন্দা ৪৫ বছরের বশির আহমেদ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি অফিসে ছিলেন। হঠাৎ কম্পন অনুভূত হয়। এরপর প্রাণের ভয়ে বাইরে বের হয়ে আসেন তিনি। হেরাথের বাসিন্দা বলেন, কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে অফিসঘরের দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়তে শুরু করে। দেওয়ালে ফাটল দেখা যায়। অফিস ঘরের একাংশ ধসে পড়ে বলেও দাবি।ভূমিকম্পের জেরে পশ্চিম আফগানিস্তানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। বারবার ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও, ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বশির। যোগাযোগ করতে না পারায় তিনি ভীত এবং চিন্তিত বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, হেরাত আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে পরিচিত। প্রায় ১.৯ মিলিয়ান মানুষের বসবাস এখানে।
গত বছর জুন মাসে হেরাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। কম্পনের জেরে ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল জুর্মে ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। কম্পনে ১৩ জন নিহত হয়েছিলেন।