ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে ৩০ নভেম্বর

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ০৯:২২ রাত  

ছবি সংগৃহীত

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঠিক করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। সেখানে সম্ভাব্য কয়েকটি তারিখ প্রস্তাব করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তবে ফল প্রকাশে শিক্ষা বোর্ডের পছন্দ আগামী ৩০ নভেম্বর।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বোর্ড সূত্র বলছে, পরীক্ষা গ্রহণের ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় নিয়ে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে যে কোনো দিন ফল প্রকাশ করতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবারকে বেছে নিতে চায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কমিটি।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন স্থাপন

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, কয়েকটি বিষয়ের উত্তরপত্র দেখা শেষ হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষকরা জমা দিয়েছেন। নম্বর ইনপুট দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের শেষ দিনকে (৩০ তারিখ) ফল প্রকাশের জন্য বেছে নিয়েছি। আমরা সেভাবেই প্রস্তাবনা পাঠাবো। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তারিখ কোনটা হবে, সেটা আপাতত বলা সম্ভব নয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন হয়ে এলে তখন চূড়ান্ত তারিখ জানাবো।’

গত ১৭ আগস্ট থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলে ব্যবহারিক পরীক্ষা।অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম বোর্ড, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে তাদের পরীক্ষাও শেষ হয়েছে।

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নপত্র ও পূর্ণ সময়ের পরীক্ষায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়।