ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অনলাইনে ৪ লাখ ৭৫০১ করদাতার রিটার্ন জমা

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ০৪, ২০২৪, ১১:২৭ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

অনলাইনে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) জমার আগ্রহ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ইতোমধ্যে অনেক বেশিসংখ্যক করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ৪ লাখ ৭ হাজার ৫০১ জন ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা ইতোমধ্যে রিটার্ন দাখিল করেছেন। এর আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময় জুড়ে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ৭২ হাজার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা আশা করছেন চলতি অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমার সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (আয়কর) এ কে এম বদিউল আলম বাসসকে বলেন, ‘নতুন আয়কর আইনে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অনেক সহজ করা হযেছে। এছাড়া অনলাইনে রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র বা ট্যাক্স সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছেন করদাতা। এসব কারণে করদাতাদের মধ্যে এখন অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের আগ্রহ বেড়েছে।’

তিনি জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন জমার সংখ্যা ৪ লাখ ৭ হাজার ৫০১-এ পৌঁছে গেছে। চলতি অর্থবছরে এর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বদিউল আলম বলেন, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজ করার জন্য এনবিআর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অনেক শক্তিশালী করেছে। সরকারের অন্যান্য সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানসমূহ এভাবে শক্তিশালী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারলে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, অন্যান্য সংস্থাসমূহের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় কোম্পানি করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে সেটি আগামী ৬ মাসের মধ্যে চালু করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।

তিনি জানান, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল পদ্ধতিকে করদাতাদের কাছে জনপ্রিয় করতে এনবিআর ব্যাপকভিত্তিক প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, সকল করদাতা যখন জানতে পারবে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া সহজ এবং রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পাওয়া যায়-তখন এর প্রতি করদাতাদের আগ্রহ আরও বাড়বে।

উল্লেখ্য, নতুন কর আইন অনুযায়ী ৪৩ ধরনের সেবা গ্রহণ করতে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেখাতে হবে। বর্তমানে দেশে কর সনাক্তকরণ নম্বরধারীর (ইটিআইএন) সংখ্যা প্রায় ৯৪ লাখ।