কুড়িগ্রামে বৈরী আবহাওয়ায় স্বাভাবিক জীবন অনেকটা স্থবিরতা
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১২, ২০২৪, ১১:১৬ রাত
ছবি সংগৃহীত
জেলায় তিন দিন ধরে দেখা মিলছেনা সুর্যের। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও হিমেল বাতাস, ঘন কূয়াশার ও মেঘলা আকাশের একটানা বৈরী আবহাওয়ার কারণে শীত অনুভুত হচ্ছে বেশী।এতে কৃষিকাজসহ দিনমজুররা যেতে পারছেনা কাজে, জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, শুক্রবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিনদিনের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সূর্যকিরণ না থাকায় ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে বেশি।নদ-নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলে হিমেল বাতাস বেশি থাকায় শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে শিশু, নারী ও বয়স্করা। অনেকেই খরকুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিচ্ছেন।
সদর উপজেলার চর সারডোব গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক জানান, চরে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কূয়াশার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বোরো চাষের জন্য জমি তৈরী ও সবজির পরিচর্যা করতে পারছেনা কৃষকরা। একই গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, একটানা ঘন কূয়াশা থাকা আলুর জন্য ক্ষতিকর। লেট ব্লাইটের আক্রমণ ঠেকাতে তাই ঘন ঘন স্প্রে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে শীতের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতি গতকালও কম দেখা গেছে।জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, জেলায় শীতার্থ মানুষের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।