ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নড়াইলে এসএসসি পরীক্ষার্থীর পায়ের রগ কাটার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৬ জনের নামে মামলা

এস এম শরিফুল ইসলাম,নড়াইল প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩, ০৭:৪০ বিকাল  

প্রেমিকার মায়ের নির্দেশে প্রেমিক এসএসসি পরীক্ষার্থী আরিয়ান মোল্যার পায়ের রগ কাটার ঘটনায় প্রেমিকার মা এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নড়াইল সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন আহত আরিয়ান মোল্যার দাদী মাসুমা বেগম।  

           এ মামলার আসামিরা হলেন,নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম পলাশ, শিবশংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা প্রেমিকার মা রুমানা পারভীন কেয়া ও তার ছেলে মোস্তাহিন হাবিব এলহান, দক্ষিণ নড়াইলের আফছার শেখের ছেলে তুষার শেখ, নুর ইসলামের ছেলে রয়েল শেখ ও একই এলাকার নিশি। আরিয়ান নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকার মোহাম্মদ মোল্যার ছেলে। সে নড়াইল পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। 

                   গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম পলাশ বাড়িতে এসে আরিয়ানকে ডাকাডাকি করেন। কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ নড়াইল এলাকার তুষার শেখ ও রয়েল মোল্যা এসে আরিয়ানকে জোর করে প্রাইভেটকারে ওঠায়। এ সময় প্রাইভেটকারে আরও দু’জন মহিলা ছিলেন। এসময় তারা আরিয়ানকে নড়াইল-গোবরা সড়কের কাড়ারবিলে মাছের ঘেরে নিয়ে যায়। সেখানে তুষার, রয়েল ও এলান আরিয়ানের হাত-পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। 

         নাম প্রকাশ করা হবে না এ শর্থে স্থানীয়রা জানান, নড়াইল শহরের আলাদাতপুর এলাকার স্কুলশিক্ষক রুমানা পারভীন কেয়ার মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আরিয়ানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আরিয়ানের পরিবার থেকে মেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি বেশি থাকায় তাদের প্রেমের বিষয়টি মেয়ের পরিবার ও আতœীয়- স্বজন মেনে নিতে পারেনি। এ কারণেই আরিয়ানকে অপহরণ করে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। প্রেমিকার মায়ের নির্দেশেই প্রেমিকার পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

         এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম পলাশ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা     দেয়া হয়েছে। 

        নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন,বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।