ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঈশ্বরদীতে ট্রেনে আগুন

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ১১:৩০ রাত  

ফাইল ছবি

এবার পাবনার ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেইল ট্রেনের ভেতরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনের একটি বগির ১‌১টি আসন পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সপ্তম দফার অবরোধের শেষদিন সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনের অদূরে ওয়াশফিটে এ ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, স্টেশন কর্তৃপক্ষসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন দুর্বৃত্ত মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই ট্রেনের ছয় নম্বর বগিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশনের টহল নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ ধাওয়া করেও তাদের ধরতে পারেনি।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটেছে যে তারা বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের সিটে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী দমকল বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংসন স্টেশনের স্টেশন সুপার (এসএস) মহিউল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদীতে আসে সিক্সডাউন ঢাকা মেইল ট্রেনটি। স্টেশনের অদূরে ওয়াশফিটে রেখে ট্রেনটি পরিষ্কার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা যাবার জন্য প্রস্তত ছিল।

সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রাতে দুর্বৃত্তরা ট্রেনের একটি বগির মধ্যে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে বেশকিছু আসন পুড়ে যায়। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে না গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো।

ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল বলেন, ‌'আমরা সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে আগুন নেভাই। তবে আগুনে ট্রেনের ছ নাম্বার বগির ১১টি আসন কমবেশি পুড়ে গেছে।'

পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ বলেন, 'নাশকতা করার এ ঘটনায় মামলা হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ে তদন্ত করা হবে।'
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ নভেম্বর দুপুরে ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনে কলকাতা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনের একটি জানালার গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ৩ নভেম্বর সকালে স্টেশনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের নিচ থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে র‌্যাব।