দুদিন পরই উড়াল সড়কে ছুটবেন চট্টগ্রামবাসী
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০৯:৩৪ রাত
ছবি সংগৃহিত
পাতাল জয়ের পর রেলপথ জয় করেছে চট্টগ্রামবাসী। এবার উড়াল সড়কের স্বপ্ন ছোঁয়ার অপেক্ষায় তারা। আর মাত্র দুদিন পরই (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার মহিদ্দীন চৌধুরী সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ বন্দর নগরীতে আগামী ৫০ বছরের যানজটের কথা মাথায় রেখে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এ মেগাপ্রকল্প। এটি চালু হলে মাত্র ২০ মিনিটে যাওয়া যাবে নগরী থেকে বিমানবন্দরে।
নদীর তলদেশ ও রেলপথের পর এবার স্বপ্ন উড়ালপথ জয়ের। উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক এ বন্দর নগরীর বুক চিরে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বয়ে চলা এ উড়াল সড়ক পাল্টে দেবে এখানকার অর্থনীতি ও যোগাযোগব্যবস্থা।
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। বহুতল ভবন ছাড়িয়ে অট্টালিকার ওপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা এ উড়াল সড়ক যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত। আগামী ১৪ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শনে গিয়ে সিডিএর প্রকৌশলী জানান, নগরীর পুরো কানেক্টিভিটি বদলে দেবে এ উড়ালপথ।
সিডিএর প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘আমাদের প্ল্যানিংগুলো এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রজেক্টগুলো অন্তত ৫০-৬০ বছর স্মুথলি চলতে পারে।’
আরও পড়ুনঃ ১৩ দিনে বঙ্গবন্ধু টানেলে যত টাকা টোল আদায়
নগরীতে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ গাড়ি বাড়ছে। তাই আগামী ৫০ বছরের যানজটের কথা মাথায় নিয়েই করা হয়েছে এ মেগাপ্রকল্প। এটি চালুর ফলে সময় ও অর্থের পাশাপাশি আগামী ৫ বছরে জ্বালানি সাশ্রয়ী হবে কোটি কোটি টাকার। যানজট কমাবে বঙ্গবন্ধু টানেল, বন্দর ও ইপিজেডকেন্দ্রিক যাতায়াতে।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আংশিক ইমরান বলেন, ‘এটা যে শুধু এয়ারপোর্টকে কানেক্ট করবে তা নয়; বরং র্যাম্পের মাধ্যমে নগরের বিভিন্ন জায়গাকে সংযুক্ত করবে।’
সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ মেগাপ্রকল্প ছাড়াও ওইদিন উদ্বোধন হবে বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ফৌজদারহাট-বায়েজিদ রিং রোডও।
প্রায় ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই অনুমোদন হয়। ওই সময় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন হয়। ২০২২ সালে নির্মাণ ব্যয় বাড়ানোর ফলে মোট নির্মাণব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা। যৌথভাবে নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র্যাঙ্কিন।
২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন