ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২৪,০০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০১:০১ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজার টেকনাফের কুতুবদিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
 
র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
 
May be an image of text that says 'উদ্ধারকৃত ইয়াবা উদ্ধারকৃত মোবাইল'
ছবি সংগৃহীত
 
এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কুতুবদিয়াপাড়া এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অনুমান ১২.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক দল হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কতুবদিয়াপাড়া এলাকার জনৈক মৌলভী আব্দুল জলিল এর বাড়ীর উত্তর পাশে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অতঃপর জিজ্ঞাসাবাদে তার বসত ঘরের শয়ন কক্ষের খাটের নিচে লুকায়িত অবস্থায় শপিং ব্যাগের ভিতর অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা মজুদ রয়েছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তি ও তার বসত ঘর বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে সর্বমোট ২৪,০০০ (চব্বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
 
 
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫), পিতা-আব্দুল জলিল, মাতা-রেহেনা বেগম, সাং-কুতুবদিয়াপাড়া, ওয়ার্ড নং-০৩, ইউনিয়ন-হোয়াইক্যং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তি তার সাথে থাকা অন্য একজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং পলাতক মাদক কারবারী পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ রেখে টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।