ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা মোঃ সুমন আহম্মেদকে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানাধীন পাকুল্লা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩, ১২:১৯ রাত  

ভিকটিম মোঃ হাফিজুর রহমান (৪৪), পিতা- মোহাম্মদ আলী, সাং- নয়াপাড়া ডিগরী, থানা- জয়দেবপুর, জেলা- গাজীপুর এর প্রতিবেশী মালদ্বীপ প্রবাসী জমির আলী (৩০), পিতা- সবুর আলী, সাং- নয়াপাড়া, থানা- জয়দেবপুর, জেলা- গাজীপুর বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর মোবাইল নাম্বার প্রদান করে। পরবর্তীতে উপরোক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামী ভিকটিমকে মালদ্বীপে একটি প্রখ্যাত রিসোর্টে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন ও ভুয়া ভিসা দেখিয়ে ভিকটিমের নিকট হতে দুই ধাপে মোট ৫,৮০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ আশি হাজার) টাকা গ্রহণ করে গত ০৪/০৯/২০২২ খ্রিঃ তারিখে ফ্লাইটে শ্রীলংকা হয়ে মালদ্বীপ পাঠায়। কিন্তু ভুয়া ভিসা ও টুরিস্ট টিকেটের কারণে তাকে পরের দিন মালদ্বীপ থেকে শ্রীলংকা হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। ফেরত আসার পর তাকে পুনরায় মালদ্বীপে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে ৬/৭ দিন ঢাকার উত্তরায় একটি হোটেলে রাখলেও তাকে মালদ্বীপে না পাঠিয়ে বাড়িতে ফেরত যেতে বলে। পরবর্তীতে একাধিকবার তাকে মালদ্বীপে পাঠানোর আশ্বাস দিলেও গত ১২/১২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ তাকে আর বিদেশে পাঠাবে না এবং কোন টাকা ফেরত দেবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মোসাঃ রেহেনা রহমান (৩৭) বাদী হয়ে উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (জয়দেবপুর) ৩ নং আদালত, গাজীপুর এর সিআর মামলা নং- ১৯৫/২০২৩, তারিখ- ০৯/১০/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ এর ৩১(ক)/৩১(খ)/৩১(গ)/৩১(ঘ)/৩৩ দায়ের করেন। 

 উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নিম্নে বর্ণিত মামলাসমূহ পাওয়া যায়ঃ*
১. টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার সিআর মামলা নং- ৭৪৮/১৫, ধারা- বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ এর ৩১/৩৩/৩৪/৩৬।
২. টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার সিআর মামলা নং- ৯৬৪/২০, ধারা- NI Act এর ১৩৮।

৩. গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার সিআর মামলা নং- ১৯৫/২০২৩, ধারা- বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ এর ৩১(ক)/৩১(খ)/৩১(গ)/৩১(ঘ)/৩৩।