ভালুকায় অটোচালক হত্যা, চার আসামি র্যাব-১৪ কর্তৃক গ্রেপ্তার
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ০৯:০৪ রাত
ছবি সংগৃহীত
“অটোচালক হত্যা পূর্বক অটো ছিনতাই” ক্লুলেস হত্যা মামলার ঘটনার রহস্য উন্মোচনপূর্বক ছিনতাইকৃত অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার এবং হত্যার সাথে জড়িত ০৪ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ব্যাটালিয়ন সদর, ময়মনসিংহ।
গত ১৬ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ সকাল আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকায় জিএমপি সদর থানাধীন গজারীয়া সাকিনস্থ ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিটল মটরস্ শোরুম সংলগ্ন গজারী বনের ভিতরে ভিকটিম কাওসার (১৫), পিতা- মতিউর, সাং-হবির বাড়ি খন্দকার পারা, থানা- ভালুকা, জেলা- ময়মনসিংহের লাশ পাওয়া যায়। যানা যায় ভিকটিম ১৪/১০/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ২টা ৩০ ঘটিকার সময় যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে যায়। অটোরিকশা চালানো শেষে বাসায় ফিরে না আসয় , তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় । জিএমপি সদর থানা গাজীপুর ভিকটিম কাওসার(১৫) এর লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করত ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মৃত্যের বাবা ১৭ তারিখ ভিকটিমের লাশ সনাক্ত করে।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় ধর্ষণের পর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে হত্যা
উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ উক্ত ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধিনায়ক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে উপ পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক দল ১৭/১০/২০২৩ ইং মধ্যরাত হতে ১৮/১০/২৩ তারিখ ভোর রাত পর্যন্ত গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী ০১। মোঃ মনজুরুল হক (৩৩), পিতা- মৃত আব্দুল সালাম সাং- মধ্য ভাটিরচর পারা, থানা-ত্রিশাল, জেলা- ময়মনসিংহ ২। মোঃ সুলতান (৩৮) , পিতাঃ নবী হোসেন, গ্রামঃ কচুরি নয়া পারা থানা- নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ ৩। মোঃ আশিক(২২), পিতাঃ মৃত আলম ফকির , সাং- নয়নপুর , থানা- জয়দেবপুর, জেলা গাজীপুরদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয় এবং ৪। মোঃ আলী হোসেন (১৯) পিতা- মোঃ আবু হানিফ , সাং- বাবু খালি , জেলা -ময়মনসিংহ ময়মনসিংহের ইশ্বরগজ্ঞ থেকে গ্রেফতার করা হয় , গ্রেফতার কৃত আসামীদের নিকট হতে অটোরিকশার তিনটি টায়ার, পাঁচটি ব্যাটারি, সম্মুখ গ্লাস, একজোড়া সকেট জাম্পার, একটি কন্ট্রোলার, একটি হ্যান্ডেল বার,একটি মিটার, একটি মটার, একটি ডিফেন্সিয়াল এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি বাটন মোবাইল ।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার কৃত আসামী আলী হোসেন (১৯), মনজুরুল হক (৩৩), ও অপর এক পলাতক আসামী (তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হল না) সহ ভিকটিম কাওসার (১৫), পিতা- মতিউর, সাং-হবির বাড়ি খন্দকার পারা, থানা- ভালুকা, জেলা- ময়মনসিংহকে সু-কৌশুলে ভালুকা থেকে গাজীপুরের সদর থানা এলাকাই নিয়ে যায়। আসামী মোঃ আলী হোসেন ও তার সঙ্গী পলাতক আসামি অটোচালক ভিকটিমকে সেভেন আপ এর মধ্যে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ালে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে গেলে ভিকটিমকে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেধে ছুরি দ্বারা আঘাত করে হত্যা করে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা ৩৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ধৃত ওপর তিন আসামী ও পলাতক দুজন আসামির নিকট উক্ত অটোটি খুলে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সহ বিক্রি করে ও বিক্রি থেকে উপার্জিত টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়
উক্ত হত্যাকান্ড ও অটো ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে, পাশাপাশি এ ধরনের ছিনতাই আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের গাজীপুর সদর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীণ।